৯ জুলাই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর নিমেষে ছড়িয়ে যায়। ৩২ বছরের পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর করাচির প্রতিরক্ষা দফতরের আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। বন্ধ দরজা, মেঝেয় উপুড় অবস্থায় পড়ে আছে দেহ। একেবারে পচেগলে গিয়েছিল দেহটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, ছ’দিন আগে মৃত্যু হয়ে হুমাইরার। অভিনেত্রীর দেহ নিতে অস্বীকার করেছেন তাঁর বাবা। এ বার অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন:
সে দেশের স্থানীয় পুলিশ পাক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পচাগলা অবস্থায় হুমাইরার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের মালিক মাসিক ভাড়া না পাওয়ায় ফ্ল্যাটটি অবিলম্বে খালি করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন হুমাইরাকে। কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতের নির্দেশেই পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে হাজির হয়। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকির পর সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙতে হয় পুলিশকে। ঘরে হুমাইরার দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহ। তাতেই জানা যায়, প্রায় ন’মাস আগে নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অভিনেত্রীর বাড়ির অন্দরের শুকনো নোংবা জলের পাইপ, পচে যাওয়া প্রায় ছ’মাস পুরনো খাবার মিলেছে। এমনকি, এ-ও বলা হচ্ছে যে, অভিনেত্রী গত কয়েক মাসে বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারেননি বলে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। গত ছয়–সাত মাস ধরে সমাজমাধ্যমেও কিছু পোস্ট করেননি অভিনেত্রী। তাই অনুমান, কয়েক মাস আগেই মারা গিয়েছেন তিনি।