অভিযুক্ত তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, গড়ফার কাছে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে নিমন্ত্রণ ছিল তাঁদের। পল্লবী, সাগ্নিক, অভিযুক্ত তরুণী এবং আরও দু’জন। বিয়েবাড়ি থেকে বেরোতে বেরোতে বেশ খানিকটা রাত হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে ওই তরুণী এবং আরও দুই বন্ধু পল্লবীদের বাড়িতে রাতে থাকেন বলে দাবি তরুণীর। পরদিন সকালে সাগ্নিকের শরীর খারাপ হয়। রক্তবমি হতে থাকে। কিন্তু পল্লবীর শ্যুটিং ছিল। তাই তাঁকে বেরোতেই হত। তাই পল্লবী নিজেই নাকি বাকি তিন জনকে থেকে যেতে বলেন বলে দাবি ওই তরুণীর। বিকেলে পল্লবী ফিরে আসেন। সকলে মিলে সাগ্নিককে নিয়ে হাওড়ায় ডাক্তার দেখাতে যান। তার পরে পল্লবী খানিক ক্ষণের জন্য ওঁর হাওড়ার বাড়িতেও ছিলেন। তরুণীর বক্তব্য, ‘‘আমরা ছোটবেলার বন্ধু। বহু কাল বাদে সে দিন পল্লবীর হাওড়ার বাড়িতে গিয়ে খুব ভাল লেগেছিল।’’ তরুণীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার পরে যে যাঁর বাড়ি ফিরে যান তাঁরা।
তরুণীর দাবি— তিনি, পল্লবী, সাগ্নিক হাওড়ায় থাকার সূত্রে ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। পল্লবীর প্রাক্তন প্রেমিক রেহানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে অবশ্য কিছু দিনের জন্য যোগাযোগ কমে যায় পল্লবীর সঙ্গে। কিন্তু আবার যোগাযোগ তৈরি হয়। তরুণী বলেন, ‘‘আমি কত বার পল্লবীর সঙ্গে অডিশনে গিয়ে বসে থেকেছি! আমরা এতটাই ভাল বন্ধু ছিলাম। কিন্তু আজ পল্লবীর বাবা-মা আমার নামে এ সব কেন বলছেন, বুঝতে পারছি না। আমি কাকিমাকে ফোন করি, ফোন ধরেননি। ওর ভাইকে ফোন করি, তাকেও পাইনি। আমি জানতে চাই, আমার দোষটা কী?’’
অভিযুক্ত তরুণীর আক্ষেপ, তাঁর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এ রকম অভিযোগে নাম উঠলে তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কেবল তা-ই নয়, তাঁর প্রশ্ন— ‘‘কেবল একটা রাত থেকেছিলাম বলেই কি আমার চরিত্র নিয়ে এত কাটাছেঁড়া চলছে?’’