‘পঞ্চায়েত ৩’ মুক্তির বছরখানেকের মধ্যে মুক্তি পেল ‘পঞ্চায়েত ৪’। ওটিটি’র পর্দায় অন্যতম সফল ভারতীয় ওয়েব সিরিজ়। এই সিরিজ়ের প্রায় প্রতিটি চরিত্রই আলাদা ভাবে দর্শকের নজর কেড়েছে। ফুলেরা গ্রামে যেমন সহজ-সরল মানুষ রয়েছেন, তেমনই রয়েছে ভোটের রাজনীতি। রয়েছে প্রেমের ছোঁয়াও! এই সিরিজ়ের প্রথম সিজ়নের শেষ পর্বে দেখা গিয়েছিল, একটি জলের ট্যাঙ্কের উপর পঞ্চায়েত সচিব অভিষেকের সঙ্গে গ্রামপ্রধানের মেয়ে রিঙ্কির দেখা হয়েছে। ওয়েব সিরিজ়ের প্রথম পর্বে পুরো অংশ জুড়ে তাঁর নাম বার বার উল্লেখ করলেও শেষ দৃশ্যে এক ঝলকের জন্য রিঙ্কিকে দেখানো হয়েছিল। কোনও সংলাপ ছিল না তাঁর। দ্বিতীয় সিজ়নে এসে তাঁর চরিত্রটিকে ভাল করে ফুটিয়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দেন নির্মাতারা। চরিত্রটির সারল্য প্রথম থেকেই দর্শকদের মন কাড়ে। প্রধানের মেয়ে হিসেবে রিঙ্কি যেমন নিজের জায়গা করে নেন, তেমনই তাঁর ও অভিষেকের রসায়ন নজর কাড়ে দর্শকদের। গত দ্বিতীয় সিজ়নের পর থেকে তাঁদের প্রেম একটু একটু করে সাবালক হয়, চতুর্থ সিজ়নে জীতুর ঠোঁটে ঠোঁট রাখেন সানভিকা। যদিও জিতেন্দ্রের সঙ্গে চুমুর অভিজ্ঞতা নাকি ভাল নয় তাঁর!
আরও পড়ুন:
সানভিকা এখানে গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি মনেপ্রাণে দৃঢ়চেতা। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন। অন্য দিকে, জিতেন্দ্র পরিশ্রমী পরোপকারী। কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে ভীরু। সচিব অভিষেককে সাহস জুগিয়েছেন রিঙ্কিই। অভিষেকের সঙ্গে তিনটে সিজ়ন ধরে প্রেমপর্বের পর সাহসী হলেন রিঙ্কি! বারদুয়েক চেষ্টা করেছেন চতুর্থ সিজ়নে। যদিও শেষমেষ চুমু খেতে পারেননি তাঁরা। সানভিকা জানান, নির্মাতারা চেয়েছিলেন এই সিজ়নে তাঁর ও জিতেন্দ্রের চুমুর দৃশ্য থাক। প্রথমে অবশ্য এটা শুনেই নাকচ করে দেন সানভিকা। এমন একটা দৃশ্যে অভিনয় করবেন কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দু’দিন সময় নেন সানভিকা। যদিও নির্মাতারা কথা দেন, তাঁরা দৃশ্যটা এমন ভাবে শুট করবেন, যাতে কোনও ভাবেও রুচিহীন না মনে হয়। সানভিকার কথায়, ‘‘আসলে ‘পঞ্চায়েত’ পরিবার নিয়ে দর্শকেরা দেখেন। সেই কারণে ভাবনাচিন্তা করছিলাম। তাই ওই দৃশ্যটা সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরে চুম্বনের দৃশ্য আনা হয়। কিন্তু একটা অস্বস্তি ছিলই।’’ যদিও সহ অভিনেতা হিসেবে জীতু সবটা সহজ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই মত সানভিকার।