নিক জোনাসের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়া এবং তাঁকে বিয়ে করার আগে অন্য এক জনের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছিল প্রিয়ঙ্কার। — ফাইল চিত্র।
অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এখন নিক জোনাসের ঘরনি। কন্যা মালতীকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য তাঁদের। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অভিনেত্রী অকপট হলেন তাঁর প্রেমজীবন নিয়ে। জানালেন, নিক জোনাসের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়া এবং তাঁকে বিয়ে করার আগে অন্য এক জনের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছিল তাঁর। যদিও ১০ বছরের ছোট নিক টুইটারে সরাসরি মেসেজ করে প্রিয়ঙ্কার নম্বর চেয়েছিলেন।
সেই ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করেই প্রিয়ঙ্কা বলেন, “যখন নিক টুইটারে আমার নম্বর চেয়েছিল, তখন আমার আগের সম্পর্কটা একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। সেটা ছিল ২০১৬ সাল। আমার কোনও শুভাকাঙ্ক্ষীই চাননি যে, আমি ওই সম্পর্কে থাকি।”
দশ বছরের ছোট একজনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে দ্বিধা এসেছিল বলেও জানান প্রিয়ঙ্কা। তিনি জানান, শুরুর দিনগুলোতে তাই নিকের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে পড়তে চাননি তিনি। ফোনেই কথাবার্তা হত। প্রিয়ঙ্কা জানান, তাঁদের বন্ধুরা, এমনকি নিকের ভাই কেভিন জোনাসও তাঁদের দেখা করতে বলতেন, চাইতেন নিক-প্রিয়ঙ্কা আরও বেশি সময় কাটান একসঙ্গে। কিন্তু, তাঁদের দু’জনের দিক থেকেই ব্যাপারটা জটিল ছিল।
নিককে প্রথমেই ফোন নম্বর দিতে চাইছিলেন না প্রিয়ঙ্কা, কারণ তখনও তিনি সম্পর্কে ছিলেন। সে সম্পর্ক বহু দিনের, হঠাৎ ভাঙা যেত না, কিন্তু ফুরিয়ে এসেছিল প্রেম।
প্রিয়ঙ্কা বলেন, “প্রায় পাঁচ-ছয় বছরের একটা সিরিয়াস সম্পর্কে ছিলাম তখন। তবে নিক যখন আমার নম্বর নিল, আমরা চ্যাট করতে শুরু করলাম। পুরনো সম্পর্কটা শেষ করতেই হল।”
খোলাখুলি জানান অভিনেত্রী, নিকের সঙ্গে সেই সময় রোম্যান্স করতে চাননি তিনি, চেয়েছিলেন সম্পর্কে থিতু হতে। তবে ক্রমশই বোঝেন, নিক একজন পরিণত মানুষ, বহিরঙ্গটিই শুধু ২৫ বছরের।
যে সম্পর্কের টানাপড়েনে জেরবার হয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা, সেটি প্রকাশ্যে না আনলেও শেষ ঘোষিত সম্পর্ক ছিল তাঁর শাহিদ কপূরের সঙ্গে। ২০০৯ সালে ‘কামিনে’-র সেটে তাঁদের প্রথম দেখা, ২০১১ সাল অবধি তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে নিক-প্রিয়ঙ্কার সম্পর্কের সূচনা।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিয়ে হয় তাঁদের। ২০২২ সালে সারোগেসির মাধ্যমে মা হন প্রিয়ঙ্কা। যদিও জানান, ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন ৩০ বছর বয়সেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy