অভিনেতা রাহুল বোসের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ। অভিযোগ জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের রাজপরিবারের সদস্য দিব্যা কুমারী। বাঙালি অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দার শংসাপত্রের মাধ্যমে নিজেকে হিমাচলবাসী প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তিনি!
খবর, ইতিমধ্যেই দিব্যা কুমারী হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। তবে রাহুলের তরফ থেকে এখনও বক্তব্য জানানো হয়নি।
রাহুল রাগবি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় সভাপতি। অভিনেতা ২০২৩-এ হিমাচল প্রদেশে রাগবি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা এবং তার সরকারি স্বীকৃতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, এই বিষয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন জুব্বাল রাজপরিবারের দিব্যা কুমারীকে। তাঁর প্রতিশ্রুতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় উৎসাহী মানুষজন এবং নেতারা কয়েকশো সদস্যের একটি সমিতিও গঠন করেন। সমিতির শিলান্যাস হয়।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, রাহুল তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি নাকি রাখেননি। সমিতি কোনও সরকারি স্বীকৃতি পায়নি। উল্টে আরও একটি সমিতি গঠন করা হয়েছে। এই সমিতি নাকি আগের সমিতির সদস্যদের মর্যাদা এবং কর্মক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করছে। এখানেই শেষ নয়। রাহুল নাকি হিমাচল প্রদেশের এক স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র জালিয়াতি করে সংগ্রহ করেছেন। কারণ, রাগবি ফেডারেশনের জাতীয় নির্বাচনের সময় রাজ্য থেকে দু’টি ভোট লাগে। নির্বাচনে এই ধরনের শংসাপত্রের গুরুত্ব যথেষ্ট। যা রাহুলের নেতৃত্বকে আরও পোক্ত করবে।
অভিযোগের সময় দিব্যা কুমারী আরও জানান, কলকাতায় জন্মানো রাহুলের আধার, পাসপোর্ট এবং স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র মহারাষ্ট্রের। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কী করে একজন ব্যক্তি একসঙ্গে একাধিক রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারেন? রাহুলের শংসাপত্রের মতোই ক্রীড়াসংগঠনের নেতৃত্বের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিও আশা করেন বলে জানিয়েছেন রাজপরিবারের সদস্য।