রাইমা সেনের প্রথম ছবি ‘গডমাদার’-এ পরিচালক তাঁকে অবিকল সুচিত্রা সেনের মতো ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলেছিলেন। আর তারপর থেকে কোনও না কোনও পরিচালক রাইমাকে বারবারই বলেছেন, ‘দেখ না! এই জায়গাটা যদি একটু সুচিত্রা দেবীর মতো করতে পারো।’ স্বয়ং সুচিত্রা সেনও রাইমার চাহনি থেকে হাবভাব সবেতেই ‘দেওয়া নেওয়া’র নিজের চরিত্রটাকে দেখতে পেয়েছিলেন বারবার। টনি রায়চৌধুরীর ‘অনুরণন’ হোক বা ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’, রাইমার চোখে নিজের উঠতি বয়সটাকে দেখেছিলেন সুচিত্রা। রাইমার নতুন সিনেমাগুলো বারবার নাতনির কাছে দেখতে চাইতেন সুচিত্রা। দিদিমাকে নিয়ে ছবি তৈরি হলে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার রাইমার ইচ্ছেটা বোধহয় সেখান থেকেই।
সুচিত্রা সেনের বায়োপিক করবেন বলে চিত্রনাট্য তৈরি করে ফেলেছিলেন এক বাঙালি পরিচালক। অনুমতিও পেয়েছিলেন এই সিনেমা করার। কিন্তু বহু বছর ধরেই বিভিন্ন কারণে তা আর হয়ে উঠছে না। এদিকে তর আর সইতে পারছিলেন না রাইমা। নিজেকে তৈরি করা শুরু করে দিয়েছিলেন রীতিমতো। কিন্তু হঠাৎই যেন ওলট পালট হয়ে গিয়েছিল। পরিচালক কোনও কথাবার্তা চূড়ান্ত না করেই শুট করবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছিলেন। রাইমা বলছেন, “যদিও সেই পরিচালক আমাকে ওই ছবির জন্য লক করেননি। কিন্তু যখন ফ্লোরে আসার সময় হল তখনই গোলমালটা বাঁধল। হঠাৎই আমার কাছে একটা ফোন এল। বলা হল, সুচিত্রা সেনের চরিত্রে আমাকে অভিনয় করতে হবে। কিন্তু তখন আমি অন্য এক ছবির কাজে ব্যস্ত।”
এক্কেবারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছিলেন না । নিজেকে ঘষে মেজে ‘সুচিত্রা’ হয়ে উঠছিলেন রাইমা। তখনই বলটা টুক করে চলে যায় বিদ্যা বালনের কোর্টে। একথা স্বয়ং রাইমাই স্বীকার করেছেন। কিন্তু বিদ্যা সেই চরিত্র ফিরিয়ে দেন, শুধু রাইমাই সেই চরিত্রে ফিট বলে। ২০১৫ সালে রাইমা বলেছিলেন, “বিদ্যা প্রযোজকদের জানিয়েছেন যে, শুধুই রাইমা এই চরিত্র করতে পারে। পরে আমাকেও জানিয়েছিল এই একই কথা।”
সে ছবি হয়নি। তবে এখনও ঠিক ততটাই উদগ্রীব রাইমা, দিদিমার চরিত্রে অভিনয় করতে। বরঞ্চ সময়ের সঙ্গে নিজেকে আরও গড়েছেন এই চরিত্র করতে। নায়িকার কথায়, “আবার যদি কাজটা শুরু হয় আমি ওই পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। তিনি এক জন বড় মাপের পরিচালক। তাঁর সঙ্গেই আমি এই ছবিটা করতে চাই।”
আরও পড়ুন: রেগে গিয়ে রাইমার স্ক্রিপ্ট পুড়িয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy