একজন শান্ত, মিতভাষী, মাধুর্যে ভরা। আর এক জন চঞ্চল ও প্রাণখোলা। দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংহ স্বভাবে পরস্পরের বিপরীত। এই বিপরীত স্বভাবের কি কোনও প্রভাব পড়ে সম্পর্কে? সম্প্রতি মুখ খুললেন রণবীর।
রণবীর জানান, এমনিতে তিনি খুবই ছটফটে ও বহির্মুখী। যেখানেই যান, হইহই করেন। কিন্তু দীপিকার সঙ্গ তাঁকে নম্র ও ভদ্র হতে শিখিয়েছে। রণবীর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি একা থাকলে খুবই হইহই করি। অন্য রকমের উত্তেজনা থাকে। কিন্তু দীপিকার উপস্থিতিতে একটা বিনয়ী ভাব রয়েছে। ওর উপস্থিতিতে যে ভদ্রতা ও মাধুর্য রয়েছে, তা আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সুন্দর ভাবে খাপ খেয়ে যায়।”
দীপিকার বিনয়ী স্বভাব তাঁকেও মাটিতে পা রাখতে শিখিয়েছে বলে জানান রণবীর। আবার দু’জনের স্বভাবে এতই বৈপরীত্য রয়েছে যে, পরস্পরকে আজও তাঁরা নতুন ভাবে চেনেন। প্রায়ই একসঙ্গে বেড়াতে যান রণবীর ও দীপিকা। রণবীরের ভ্রমণের ছবি দেখে সেই স্থানগুলিতে ফের বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করতেন দীপিকা। সেইমতো ফের একসঙ্গে সেই স্থানগুলিতে বেড়াতে যেতেন। ভ্রমণের মাধ্যমে পরস্পরকে নতুন করে আবিষ্কার করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, ছবিতেও পরস্পরের সঙ্গ পছন্দ করেন তাঁরা। ‘রামলীলা’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘৮৩’-র মতো ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তাঁরা। বলি তারকার কথায়, “দীপিকার সঙ্গে কাজ করতে আমার খুব ভাল লাগে। পর্দায় আমাদের রসায়ন খুবই স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়।”
দীপিকা ও রণবীর দু’জনের হাতেই আগামী দিনে রয়েছে পর পর কাজ। রণবীর ব্যস্ত তাঁর আসন্ন ছবি ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে। অন্য দিকে দীপিকাকে দেখা যাবে শাহরুখের ছবি ‘কিং’-এ।