বলিউডে সত্তরের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ওই একই সময় আরও একজন অভিনেত্রী জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন, তিনি রেখা। তাঁরা একসঙ্গে একাধিক ছবি করেছেন। তবু বন্ধুত্ব হয়নি। মৌসুমীকে দেখলেই মুখচোখের আকার বদলে যেত রেখার। এমনকি বড্ড হিংসে করতেন মৌসুমীকে! এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। পাশপাশি রেখা ও বিনোদ মেহরাকে নিয়েও অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন মৌসুমী।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী দাবি করেন, রেখা নাকি ভাবতেন তিনি বিনোদ মেহরার জীবন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। মৌসুমী বলেন, “বিনোদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল রেখার। একদিন বিনোদের মা আমাকে ওঁর আলমারি থেকে একটা খাম দিতে বলেন। সেটা রেখার মোটেও পছন্দ হয়নি। রেখার মনে হত বিনোদ আমার কথাই বেশি শোনে অন্য কারও থেকে। ওঁর ধারণা ছিল আমি বিনোদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করছি।’’ ছবির সেটে নাকি দেখলে চিনতেই পারতেন না রেখা। এমনকি মৌসুমীকে দেখলে নাকি অদ্ভুত মুখভঙ্গি করতেন।
‘প্রেমবন্ধন’ ছবির সময়কার একটি ঘটনা সম্পর্কে মৌসুমী উল্লেখ করেন, ‘‘রামানন্দ সাগর এই সিনেমার শুটের সময় আমাকে হিল জুতো খুলে ফেলতে বলেছিলেন। রেখার উচ্চতার সঙ্গে সমতা বজায় রাখতে এমন প্রস্তাব দেন। আমি পত্রপাঠ নাকচ করে দিই। আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমি একজন শিক্ষিত ধনী মহিলা। আমি এ ভাবেই বড় হয়েছি। আমাকে জুতো খুলতে বলছেন কেন? আপনি ওকে সামলান। ওর জন্য টুলের ব্যবস্থা করুন।’’
‘দাসী’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন রেখা ও মৌসুমী। সেখানেও সমস্যা হয় রেখার। মৌসুমীর দাবি, ছবিতে দ্বিতীয় নায়িকার চরিত্র পেয়ে অখুশি ছিলেন তিনি। মৌসুমীর কথায়, ‘‘এই ছবিতে দ্বিতীয় মুখ্য চরিত্র পেয়ে খুব বিরক্ত ছিলেন। দ্বিতীয় নারীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর মনখারাপ ছিল। তিনি রাজ খোসলাকে বলেছিলেন, মৌসুমীকে পরিচারিকার ভূমিকা দিন, আমাকে সঞ্জীব কাপুরের স্ত্রী হতে হবে। আমার মনে আছে, ওর কথা শুনে সাগর এবং অন্যরা হাসছিল।’’
শুধু রেখা নয়, জয়া বচ্চন থেকে অমিতাভ বচ্চন সকলকে নিয়েই নিজের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন মৌসুমী। কখনও জয়ার থেকে নিজেকে ভাল মানুষ দাবি করেছেন। আবার কখনও অমিতাভকে বড় তারকা হলেই ভাল মানুষ হওয়া যায় না বলে কটাক্ষ করেছেন। তবে কি মৌসুমীর সঙ্গে কারও সদ্ভাব নেই!