গ্রেফতারের দিন রিয়া।
আদালতে রিয়া বলেছিলেন জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে তাঁর থেকে। কিন্তু শুক্রবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়া স্বেচ্ছায় নিজের দোষ কবুল করেছেন। সে সময় এনসিবি’র হেফাজতে ছিলেন না রিয়া। তাই কোনও ভাবেই যেন তাঁর জামিনের আবেদন গ্রহণ না করে আদালত।
অন্য দিকে একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে এনসিবি’র জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়া মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যে ২৫ জন বলি সেলেবের নাম উল্লেখ করেছিলেন তাঁদের খুব শীঘ্রই সমন পাঠাচ্ছে এনসিবি। শোনা যাচ্ছে, শুধু অভিনেতাই নন, ওই ২৫ জনের মধ্যে নাম রয়েছে পরিচালক-প্রযোজক থেকে শুরু করে বলিউডের বেশ কিছু নামদামী ব্যক্তিত্ব। কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ার সময় কি আগত? শঙ্কায় বলিউড!
মঙ্গলবার মাদক যোগে গ্রেফতারের পর শুক্রবারও জামিনে ছাড়া পাননি রিয়া চক্রবর্তী। আজও তাঁর রাত কাটবে বাইকুল্লা জেলে। এ দিন আদালতে এনসিবি এবং রিয়া এই দু’পক্ষের কৌঁসুলিই নিজেদের মত জানান। রিয়ার পক্ষের কৌঁসুলি আজ আদালতে বলেন, তিন দিন আট ঘণ্টা ধরে এনসিবি-র তরফে যে ভাবে রিয়ার স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা হয়েছে তা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদেরই সমান।
আরও পড়ুন- নাবালিকা অভিনেত্রীকে নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ সাজিদের বিরুদ্ধে
অন্য দিকে এনসিবি-র তরফে বলা হয়, সুশান্ত যে ড্রাগ নিত তা জেনেও রিয়া বারণ করেননি। উপরন্তু নিজেই এর অংশ হয়ে পড়েছিলেন। ড্রাগ সরবরাহের জন্য রিয়া তাঁর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন, যা আইনত অপরাধ। পাশপাশি এনসিবির তরফে এও বলা হয়, রিয়াকে জামিনে মুক্তি দিলে সে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারে। একই সঙ্গে সমাজে তাঁর প্রভাব খাটিয়ে এবং অর্থের ক্ষমতা দেখিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের মন জয় করার চেষ্টা করতে পারে। রিয়ার পক্ষের কৌঁসুলি তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খন্ডানোর চেষ্টা করলেও রিয়ার কোনও যুক্তি আজ মানতে চায়নি আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy