ঋ সেনগুপ্ত
ঋ সেন খলনায়িকা চরিত্রে অভিনয় উপভোগ করেন! সবাই যখন নায়িকা হওয়ার জন্য উৎসুক তখন তিনি জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘উড়ন তুবড়ি’তে দুষ্টু সৎ মা ‘রূপা’ হয়েই খুশি। কেন? ঋ-এর মতে, চরিত্রের খাতিরে বেশ গা জ্বালানো হাসি হাসতে পারেন। আকর্ষণীয় সংলাপও থাকে। সব মিলিয়ে যথেষ্ট জোরালো উপস্থিতি। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছেও পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। দাবি, ‘‘নায়িকা হলাম না খলনায়িকা তাই নিয়ে মাথাই ঘামাই না। জানি, দিনের শেষে কী পর্দায় কী ব্যক্তি জীবনে নায়িকা আমিই!’’
অভিনয় প্রসঙ্গেই সম্প্রতি ‘জি বাংলার দিদি নং ১’-এ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিনেত্রীর অকপট স্বীকারোক্তি, এই ধরনের চরিত্রে তিনি নাকি মুনমুন সেনের কিছু ভঙ্গি মিশিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে। যার ফলে চরিত্র আরও জনপ্রিয় হয়ে যায়। দর্শকও পছন্দ করেন। ঋ-এর অনুরাগীরাও তাঁর চুলের ছাঁদে, কথার ভঙ্গিতে, হাসিতে বাঁ শাড়ির আঁচল সামলানোর কায়দায় ছায়া দেখেন মুনমুনের। ঋ কি সেটা বুঝেই নিজের মধ্যে আরও বেশি করে মিশিয়ে নিয়েছেন সুচিত্রা সেনের এক মাত্র মেয়েকে? অভিনেত্রী বললেন অন্য কথা। তাঁর মতে, ‘‘আমার দাঁতের পাটি সুচিত্রা সেনের মতো সাজানো! ভঙ্গিতে মুনমুন সেনের আদল। এ কথা মুনমুন-কন্যা রিয়া নিজে জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘ঋ, তোমার সঙ্গে আমার মায়ের কী ভীষণ মিল!'’’ পাশাপাশি এটাও দাবি তাঁর, সচেতন ভাবে কিছুই করেন না তিনি। কিছু অভিনেত্রীকে খুঁটিয়ে নজর করতে গিয়ে তাঁদের কিছু ভঙ্গি তাঁর মধ্যে চলে আসে। সেটাই ধরা পড়ে ক্যামেরায়, দর্শকদের চোখেও।
টেলিপাড়ায় গুঞ্জন, প্রেম এসেছে ঋ-এর জীবনেও। খুব শিগগিরিই নাকি থিতু হতে চলেছেন? এ বার কিন্তু আড়াল টানলেন অভিনেত্রী। লাজুক গলায় বললেন, ‘‘ব্যাপারটা খুব সদ্য সদ্য ঘটেছে তো! এক্ষুণি বলার মতো কিছুই ঘটেনি। আরও একটু সময় যাক। সম্পর্ক পোক্ত হোক। তখন সবাইকে জানাব। তবে একান্ত ভাবে চাইছি, সম্পর্কের যেন ইতিবাচক পরিণতিই হয়।’’ ঋ-এর খোলামেলা স্বভাব নাকি মুনমুন সেনের ভঙ্গি, কী দেখে তাঁর প্রেমে মগ্ন প্রেমিক? ফের স্বমহিমায় নায়িকা। হাসতে হাসতে বলে উঠলেন, ‘‘পর্দায়, পর্দার বাইরে আমিই সেরা। শ্রেষ্ঠ নারীর সব গুণ আমার মধ্যে। কেউ প্রেমে পড়বে না মানে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy