ঋষি এবং রণবীর; এ আর রহমান
কাশ্মীরে ইমতিয়াজ আলি, রণবীর কপূর, সঞ্জনা সাংভি, এ আর রহমান। ‘রকস্টার’ ছবির একটি গানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হবে। শ্যুটের ফাঁকে সুরকারের স্বাভাবিক কৌতূহল, ‘‘ইমতিয়াজ, তুমি কি অন্যদের গান শুনিয়েছ?’’ পরিচালক কেমন যেন গুটিয়ে গেলেন। কোনওক্রমে জানালেন, ‘‘হ্যাঁ, শুনিয়েছি। আমাদের সবার ভাল লেগেছে।’’ রহমান কি এত সহজে ছাড়ার পাত্র? তাঁরও ঘুরেফিরে একই প্রশ্ন, দল শুনেছে। সবার ভাল লেগেছে, ঠিক আছে। অন্য আর কেউ শোনেননি! তখনই পর্দা ফাঁস। আমতা আমতা করে পরিচালকের উত্তর, ছবির নায়ক রণবীর কপূরের বাবা ঋষি কপূরের একেবারেই ভাল লাগেনি!
শুনেই খানিক থমকে গিয়েছিলেন সুরকার। কারণ জানতে তার পরেই ফের কৌতূহলী তিনি, ‘‘কেন, ঋষিজির পছন্দ হয়নি?’’ ইমতিয়াজের সাফ জবাব, একটাও গানের সুর তাঁর মন ছোঁয়নি! তিনি বুঝতেই পারেননি, গানের মধ্যে দিয়ে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে? কী বলতে চাইছেন ছবির নায়ক-নায়িকা! একটু হলেও খারাপ লেগেছিল রহমানের। অল্প হতাশও হয়েছিলেন হয়তো। তার পর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘সত্যিই কি খুব জটিল কিছু বানিয়ে ফেললাম? তাই ঋষিজির মতো গানপাগল মানুষ বুঝে উঠতে পারলেন না!’’
ভাবতে ভাবতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি। বাতিল করলেন তাঁর সুর দেওয়া সমস্ত গান। আবার নতুন করে গান বাঁধলেন। জন্ম নিল জনপ্রিয় ‘নাদান পরিন্দে’। বৃহস্পতিবার ছিল ‘রকস্টার’ ছবির ১০ বছরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে নেটমাধ্যমে এক হয়েছিলেন ছবির প্রধান চার জন পরিচালক, সুরকার, নায়ক, নায়িকা। আড্ডাতেই রহমান-ইমতিয়াজ প্রথম সামনে আনেন ছবির গান-গল্প। প্রকাশ্যে আসে গান নিয়ে প্রয়াত ঋষি কপূরের অনুভূতি। আড্ডায় অকপটে সুরকার স্বীকারও করেন, ‘‘গানের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দিয়েছিলেন ঋষিজি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy