প্রিয়ঙ্কা-নিকের মেয়েকে দেখে কী বললেন ঋতুপর্ণা? ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, এখনও তেমনই আকর্ষণীয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাণিজ্যিক ছবি হোক বা শৈল্পিক, পর্দায় তিনি নজরকাড়া। কী সেই রহস্য যা তাঁকে সব প্রজন্মের হৃদয়ে রেখে দেয়? সব সময়েই তিনি কী ভাবে প্রাসঙ্গিক? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হল অভিনেত্রীকেই।
ঋতুপর্ণার দাবি, যুগ এগিয়ে যাবে, বয়স তো বাড়বেই। সময়ের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে চলবে কেন! তিনিও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেন। সংসারী নারী হয়েও অভিনয় জীবনের সাফল্য ধরে রেখেছেন সেই চাবিতেই। তাঁর মতে, “আমি কোনও নিয়মে বাঁধা পড়ি না। বাণিজ্যিক ছবি হোক বা শৈল্পিক, সব জায়গায় আমি মানিয়ে যেতে পারি। সময় বা বয়স এতে বাধা নয়। সব নারীর থেকেই এই বাড়তি চেষ্টাটুকু আমি আশা করি।” সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার বাড়ি ঘুরে এসেছেন ঋতুপর্ণা। সেই অভিজ্ঞতা সব বাঙালিই বার বার শুনতে চান। ঋতুকে জিজ্ঞাসা করা হয় নিক-প্রিয়ঙ্কার কথা, তাঁদের কন্যা মালতির কথাও। যে শিশুকে নিয়ে অদম্য কৌতূহল অনেকেরই। মালতির মুখ প্রকাশ্যে আনেননি এখনও প্রিয়ঙ্কা এবং নিক জোনাস। ঋতু কি দেখলেন তাকে সামনে থেকে? বললেন, ‘‘দারুণ মজা হল।’’
প্রিয়ঙ্কার মা মধু চোপড়ার আমন্ত্রণেই গিয়েছিলেন বাঙলার নায়িকা। লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি কাজে গিয়েছিলেন, তাই ঘুরে আসেন। বললেন, “অসাধারণ বাংলো। জোনাস ভাইদের সঙ্গে দেখা হল। তাঁদের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। মধু আন্টি খেতে বলল। কিন্তু তাড়া ছিল, না খেয়েই চলে যাই। যেটা সব থেকে ভাল ব্যাপার, প্রিয়ঙ্কা এত অল্প সময়ে এত কিছু করেছে যা থেকে শেখার আছে। হলিউডে জায়গা করে নেওয়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিখ্যাত হওয়া কম কথা নয়।”
তার পরই ঋতু বললেন, “মালতিকে অল্প ক্ষণের জন্যই দেখেছি। গোপনীয়তা বজায় রাখতে খুব বেশি কিছু বলব না। শুধু এটুকু বলব যে, খুব খুব মিষ্টি মেয়ে।”
গত নভেম্বরে মুক্তি পেয়েছে ঋতুপর্ণার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছে তাঁর অভিনয়। সেই সঙ্গে প্রস্তুতি চলছিল অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘মায়াকুমারী’র। ১৩ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাবে সেই ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy