Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Rudraneel Ghosh

Rudranil Ghosh: শাসকের দলদাস হতে চাইছে না পুলিশ, তাই কি মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপনে আমার ছবি: রুদ্রনীল

প্রশাসনের মাদকবিরোধী মুখ রুদ্রনীল ঘোষ! এ কি প্রকারান্তরে দলভারীর চেষ্টা? নাকি নতুন হেনস্থার সূত্রপাত? প্রশ্ন অভিনেতা-রাজনীতিবিদের।

 কলকাতা পুলিশের মাদকবিরোধী মুখ রুদ্রনীল ঘোষ!

কলকাতা পুলিশের মাদকবিরোধী মুখ রুদ্রনীল ঘোষ!

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ১৭:৫৭
Share: Save:

রুদ্রনীল ঘোষ নন, শেষ পর্যন্ত কি রং বদলাল রাজ্য সরকার? প্রশাসনের মাদকবিরোধী প্রচারমুখ অভিনেতা-রাজনীতিবিদ। কলকাতা পুলিশের মাদকবিরোধী সচেতনতার প্রচারে ব্যবহার হয়েছে তাঁর ছবি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ভিঞ্চিদা’ ছবির দৃশ্য এবং জনপ্রিয় সংলাপ উঠে এসেছে বিজ্ঞাপনে। এ বিষয়টা সকলের নজরে আনলেন রুদ্রনীল নিজেই। প্রশ্ন তুললেন, এত লোক থাকতে বিজ্ঞাপনে তাঁকে বাছাইয়ের নেপথ্যে কোন রহস্য!

নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষে বেঁধা বা শাসক দলের বিপক্ষে মুখ খোলা ইদানীং রুদ্রনীলের নিত্যকর্মের তালিকায়! সেই তাঁর মুখ কিনা জ্বলজ্বল করছে পুলিশের বিজ্ঞাপনে! তা হলে কে কার দিকে ঝুঁকছেন? রুদ্রনীল শাসক দলের দিকে? নাকি শাসক দলে তাঁকে টানতে চেয়ে এমন কাণ্ড? অভিনেতা-রাজনীতিবিদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা রসিকতা রুদ্রনীলের। বলেছেন, ‘‘পুলিশের মধ্যেও তো কেউ কেউ ভাল থাকেন। তিনিই হয়তো কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন!’’

বুধবার রং বদলের আভাস দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা ‘দিদি’-র অনুগামী, কথাপ্রসঙ্গে এমনও জানিয়েছেন। সেই দলে কি এ বার রুদ্রনীলও? এ বারেও পাল্টা প্রশ্ন অভিনেতার— ‘‘কাজ নিয়ে প্রায়ই দিল্লিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা হলে কি তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন?’’ রাজ্য বিজেপি সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধানের দাবি, সেটাও যেমন সম্ভব নয়, এটাও তেমনই অসম্ভব।

এমন অঘটনের কারণ হিসেবে তিনটি যুক্তিও দিয়েছেন রুদ্রনীল। তাঁর দাবি, ‘‘এই ছবিটি সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বহুল প্রশংসিত ‘ভিঞ্চিদা’ সিনেমার স্থির চিত্র। জনসাধারণকে আকর্ষণ করতেই আমার মুখের জনপ্রিয় সংলাপ ‘ধরতে পারবেন না’কে হয়তো প্রশাসন ব্যবহার করেছে।’’ দ্বিতীয়ত, অভিনেতার বক্তব্য, ‘‘বিরোধী দলের সদস্যদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা বা বিরক্ত করার নিদান শাসক দলের দেওয়াই আছে। সেটা সবাই জানেন। এটা সে রকমই কিছু নয়তো?’’ তৃতীয়ত, তাঁর মতে, যদি কেউ ভাবেন এ সব করে তাঁকে শাসক দলে টানার রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে তাঁদের উদ্দেশে অভিনেতার একটাই বক্তব্য, ‘‘পেশেন্ট আইসিসিইউতে চলে গেলে আর কমলালেবু কিনে দিয়ে লাভ নেই!’’

পাশাপাশি, প্রশাসনের উদ্দেশেও কটাক্ষ ছুড়েছেন রুদ্রনীল। পর্দার ‘ভিঞ্চিদা’র কথায়, ‘‘সারা ক্ষণ ‘শাসক দলের দলদাস’ কথাটা শুনতে বোধহয় পুলিশ মহলেরও আর ভাল লাগছে না। নিজেদের বদলাতে এটাই হয়তো তাদের প্রথম পদক্ষেপ।’’ তবে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে আর দেখা মিলছে না এই পোস্টের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE