রুদ্রনীল ঘোষ।
কার মতো লাগছে তাঁকে? বিভ্রান্ত রুদ্রনীল ঘোষের অনুরাগীরাই। মঙ্গলবার সকালে তিনি একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছেন। সাদা-কালো ছবিতে তাঁর কাঁচা-পাকা চুল-দাড়ি। চোখ-মুখ দিয়ে ঠিকরে বেরোচ্ছে অব্যক্ত ক্রোধ! ভক্তদের দাবি, সব মিলিয়ে ভবানীপুরের প্রার্থী যেন রামগোপাল বর্মার ‘সরকার’!
এত দিনের চেনা লুক বদলে অভিনেতা হঠাৎ নব্য সাজে? তার উত্তরও তিনি দিয়েছেন ছবির পাশে। লিখেছেন, পরের কাজের প্রস্তুতি...। বাকি সতীর্থদের মতোই গেরুয়া শিবিরের এই সদস্যও কি অভিনয়ে ফিরছেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে রুদ্রনীল বললেন, ‘‘আস্তে আস্তে ইন্ডাস্ট্রি আবার আগের অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ছবির কাজে হাত দিচ্ছেন। সেই পথেই পা রাখতে চলেছে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টটিটিউট (এসআরএফটিআই)। সেখানকার এক ছাত্র জয়ব্রত-র পরিচালনায় কাজ করব। তারই প্রথম লুক প্রকাশ্যে আনলাম।’’
রুদ্রনীলের ছবি প্রশংসার পাশাপাশি অনুরাগীদের কটাক্ষও কুড়িয়েছে। কিছু জনের বাঁকা ইঙ্গিত, রাজনীতি ছেড়ে কি আবার পুরনো পেশায়? এই কটাক্ষ গায়ে মাখেননি অভিনেতা। হালকা চালে তাঁর জবাব, যাঁরা রাজনীতিতে নিবেদিতপ্রাণ তাঁরা শুধুই রাজনীতি করেন। আর নিজের পেশার পাশাপাশি যাঁরা রাজনীতিমনস্ক, তাঁরা দু'টিকেই নিয়ে চলেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি ডার্বি ম্যাচের কথা বলেন। ‘ভিঞ্চিদা’-র কথায়, ‘‘ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ফাটাফাটি। ম্যাচ শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। ফুটবল মাঠে পড়ে থাকে। কেবল খেলোয়ড়েরা মাঠে থেকে যান। আমরাও তাই। নির্বাচনের আগে গা ঘামাই। নির্বাচন শেষে যে যার আদর্শকে সামনে রেখে প্রথম পেশায় ফিরি।’’
ছবি আরও বলছে, রুদ্রনীল ‘রাগী যুবক’! হাসির ছোঁয়া অভিনেতার উত্তরে। বললেন, অপরাধ দুনিয়ার গল্প নিয়ে ছবি। পুরোটা আগাম বলার উপায় নেই। তবে কলকাতারই এক অজানা অপরাধ জগৎ উঠে আসবে ছবির হাত ধরে। অভিনেতার বক্তব্য, ‘‘আমাদের অজান্তে এমন কিছু মানুষ থাকেন তাঁরা অতি সাধারণ হয়েও অ-সাধারণ কাজ করেন। আমি সে রকমই এক চরিত্র, 'দীনবন্ধু'।’’ ছবির নাম ‘অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে শ্যুট শুরু হবে।
পুরোপুরি চরিত্র হয়ে উঠতে ‘লুক’ বদল করেছেন। পাশাপাশি অপরাধ জগতের সাম্প্রতিক ঘটনা, তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে পড়াশোনাও করছেন রুদ্রনীল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কতটা দীনের বন্ধু? সাফ জবাব এল, ‘‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে তর্কে নেমেছি। কোনও দিন কুৎসা ছড়াইনি। নিজে এক মুঠো খেলে, বাকিদের মুখেও এক মুঠো তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একা কখনও খাইনি।’’
সেই জায়গা থেকেই পাল্টা প্রশ্ন অভিনেতার, ‘‘বাস্তবেও কি তা হলে আমি দীনের বন্ধু নই?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy