মায়ের স্মৃতিতে বুঁদ রূপঙ্কর বাগচী। ছবি: ফেসবুক।
মাকে নিয়ে সন্তানের আবেগ থাকেই। তিনি থাকলে সেই আবেগ হয়তো অনেকাংশে সংযত। মায়ের অনুপস্থিতিতে সেই আবেগ স্বাভাবিক ভাবে প্রকাশ্যে চলে আসে। ১১ অগস্ট রূপঙ্কর বাগচীর মা সুমিত্রা বাগচীর জন্মদিন। ১১ বছর আগে মাকে বরাবরের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন গায়ক। তাই স্মৃতিই সম্বল। বিশেষ দিনে মাকে মনে করতে গিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে রূপঙ্কর জানিয়েছেন, তাঁর মা অল্পবয়সে প্রতিবাদী ছিলেন। তাই বাড়ির অমতে তাঁর বাবাকে বিয়ে করার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন।
এ দিন তিনি সমাজমাধ্যমে মায়ের উদ্দেশে লিখেছেন, “এখন আমি বাড়ি ফিরছি শো করে। দুপুরের খাওয়া হয়নি। খুব খিদে পেয়েছে। ২০১৩-এর আগে হলে তুমি এত ক্ষণে অনেক বার ফোন করে ফেলেছ। খেয়েছি কি না, জানতে চাইছ। আমি খুব বিরক্ত হয়ে বার বার বলছি, কেন এত বার কল করো বল তো মা!” ২০১৩-র পর থেকে ফোন আসা বন্ধ। গায়ককে ডেকে খোঁজ নেওয়ার মানুষটি নেই।
আর কোনও স্মৃতি আজকের দিনে বেশি করে মনে পড়ছে? গায়কের কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। রূপঙ্কর বলেন, “মাকে ঘিরে আমার অজস্র স্মৃতি। আমার জীবনে, মননে মায়ের প্রচণ্ড প্রভাব। আমার গল্পের বইয়ের নেশা মায়ের থেকে পাওয়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি অনুরাগও মায়ের দান। বনেদি-অভিজাত পরিবারের মেয়ে। শিক্ষা-সংস্কৃতির সহাবস্থান ছিল মায়ের মধ্যে।” আর প্রতিবাদী সত্তা? তখনই তিনি জানান, অল্পবিস্তর প্রতিবাদী ছিলেন তাঁর মা। তাঁর বাবা সাধারণ ঘরের ছেলে। তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ায় খুব আঘাত পেয়েছিলেন সুমিত্রা বাগচীর বাবা। বিয়ের পর এক মাস মেয়ের সঙ্গে কথা বলেননি। সুমিত্রা বাগচী যদিও তাতে দমেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy