মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে সলমন খানের! এই মুহূর্তে তাঁর মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া। লরেন্স বিশ্নোইয়ের তরফ থেকে পেয়েছেন একের পর এক হুমকি। তবে সেই সব তোয়াক্কা করেন না ভাইজান। একটা সময়ে আরও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা পার করে এসেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা ভাইপো আরহান খানের পডকাস্টে ভাগ করে নিয়েছেন সলমন।
বিমানে করে প্রায়ই যাতায়াত করতে হয় সলমনকে। আকাশপথেই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। ভাই সোহেল খান ও অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হার সঙ্গে বিদেশ থেকে ফিরছিলেন সলমন। হঠাৎই মাঝ আকাশে শুরু হয়েছিল মারাত্মক ঝাঁকুনি। বিমানের যাত্রীরা ভয় সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি প্রায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। টানা ৪৫ মিনিট ধরে বিমানে ঝাঁকুনি চলছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও নাকি নির্বিকার ছিলেন সোহেল খান। অমন আপৎকালীন পরিস্থিতিতেও নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি।
সলমন বলেছেন, “শ্রীলঙ্কার একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলাম। সবাই খুব হাসাহাসি করছিল। কিন্তু হঠাৎ বিমানে প্রবল ঝাঁকুনি হওয়া শুরু হল। প্রথমে স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর থেকে জোরে জোরে শব্দ হতে লাগল। বিমানের যাত্রীরা ভয়ে চুপ করে গেলেন সকলে। মুহূর্তে পরিবেশ থমথমে হয়ে গেল। সোহেলও ছিল আমার সঙ্গে। দেখলাম, ও নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। টানা ৪৫ মিনিট ধরে ওই ঝাঁকুনি চলেছিল।”
ওই পরিস্থিতিতে নাকি দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং বিমান চালকও। এই দেখে ঘাবড়ে যান সলমন। সে দিন সোনাক্ষীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা-ও। অভিনেতা বলেছেন, “বিমান সেবিকাও সেই দিন প্রার্থনা করছিলেন। তখন মনে হল, ‘ওরে বাবা’! এমনকি বিমানচালককে দেখেও চিন্তিত লাগছিল। এমনিতে ওঁরা খুবই শান্ত থাকেন। তার পরে দেখি, অক্সিজেন মাস্ক নেমে এল। মনে মনে ভাবছিলাম, ‘এ সব তো ছবিতেই দেখেছি কেবল’।” সলমন জানিয়েছেন এক সময় ঝাঁকুনি থেমে গিয়েছিল। সকলে স্বস্তির শ্বাস নিচ্ছিলেন। কিন্তু ১০ মিনিট পরই আবার শুরু হয় ঝাঁকুনি। সন্ত্রস্ত সকলে। ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং ভাইজান। তিনি বলেন, “তার পর ধীরে ধীরে সব শান্ত হল। কিন্তু আর কারও মুখে কোনও কথা নেই। শেষ পর্যন্ত বিমান নির্বিঘ্নে এসে নামল গন্তব্যে। তখন যেন সবাই হঠাৎ সাহসী হয়ে উঠলেন। হাঁটাচলাই বদলে গেল তখন।”
কাকার মুখে এই অভিজ্ঞতা শুনে অবাক হয়ে যান আরহানও। শনিবার মুক্তি পেয়েছে সলমনের এই বহু প্রতীক্ষিত পডকাস্ট।