‘ঘরে বাইরে’-তে সৌমিত্র-স্বাতীলেখা
স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর চলে যাওয়ার খবর শুনলাম আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে। মনে হল সন্দীপ আর বিমলা আবার মুখোমুখি। আমার বাবা সত্যজিৎ রায়ের খুব পছন্দের অভিনেত্রী ছিলেন স্বাতীলেখা। বাবা ‘ঘরে বাইরে’ নিয়ে কাজ করার কথা ভাবলেও প্রথম ধাপেই ছবি করে উঠতে পারেননি। কখনও সময় সহযোগিতা করেনি, কখনও বাবার চরিত্র পছন্দ হয়নি। এক সময় অপর্ণা সেনকেও বিমলার জন্য ভেবেছিলেন। সেই ভাবনাও পূর্ণতা পায়নি। ‘সীমাবদ্ধ’ শ্যুটের পরেও বাবা ভেবেছিলেন ‘ঘরে বাইরে’ করবেন। তখনও বাবা বিমলা খুঁজে পাননি।
অবশেষে একবার নাটক দেখতে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানে স্বাতীলেখার অভিনয় দেখে ভাল লাগে। শুধু ভাল লাগাই নয়। অবশেষে বাবা তাঁর বিমলাকে খুঁজে পান।
বাবা জেনেছিলেন স্বাতীলেখা পিয়ানো বাজাতে পারেন। গান গাইতে পারেন। ওঁর আরও অনেক গুণ বাবাকে উৎসাহ জুগিয়েছিল। ওঁকে পেয়েই বাবা ‘ঘরে বাইরে’-র শ্যুট আরম্ভ করেন। বাবা ওঁর খুবই প্রশংসা করতেন। বলতেন, ‘নাট্য জগত থেকে আসা অভিনেত্রী। ওঁর কঠোর নিয়মানুবর্তিতা মনে রাখার মতো।’ আমার মা বিজয়া রায় আর রূপটান কর্মী অনন্ত দাস বিমলাকে সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কোনও বিষয়ে ওঁর জন্য শ্যুটিং পিছিয়েছে, বা কাজে দেরি হয়েছে— এমনটা হয়নি। বাবা বিমলাকে পেয়ে খুবই খুশি ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy