আমার শাশুড়ি, তার মেয়ে, এখন আবার যোগ হয়েছে আমার মেয়ে— এরাই জামাইষষ্ঠীতে মূল ভূমিকা নেয় আর কী।
মানে বলতে চাইছি, আমিই জামাই। কিন্তু পুরো প্ল্যানটা করে ওরা। জামাইষষ্ঠীর দিন সকালে সময় না পেলেও রাতে নিমন্ত্রণ খেতে হয়। আমার শাশুড়ি বলেন, ওই দিন নাকি পাঁচ পদ খেতেই হবে। পাঁচ রকম ভাজা মেনুতে থাকবেই। তবে আমার পছন্দ উচ্ছে আলুসেদ্ধ, নিমবেগুন— কিন্তু আমার মেয়ে আর বউ ও সবের ধার দিয়ে যায় না। ফলে ও সব লিস্ট থেকে বাদ। ওরা দলে ভারি তো! শাশুড়িমা আগে অনেক আয়োজন করতেন। এখন বয়স হয়ে গিয়েছে। অতটা পেরে ওঠেন না। তবে শখ রয়েছে ষোলো আনা।
আর একটা ব্যাপার বাদ দিলে চলে না। সে হল গিফট, উপহার। সব অনুষ্ঠানেই তা জুড়ে রয়েছে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে। জামাইষষ্ঠীই বা বাদ যাবে কেন! ধরুন, আমার একটা জুতো দরকার। ভাল জুতো। সেটা শাশুড়িতে বললাম। আপনি তো কিছু না কিছু দেবেনই। জুতোটাই কিনে দিন। কিন্তু তা হবার নয়। শাশুড়ির বক্তব্য হচ্ছে, জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে নাকি কিছুতেই জুতো দেওয়া যাবে না! বলতেন, তুমি পাঞ্জাবি নাও, ধুতি নাও। কিন্তু জুতো কিছুতেই দেওয়া যাবে না। হা হা হা…। যদিও এখন শাশুড়ি আমাকে কী দেবেন, বা আমি শাশুড়িকে কী দেব— সবটাই আমার বউয়ের ডিপার্টমেন্ট।
বিয়ের দিন শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে শাশ্বত। ছবি সৌজন্যে: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy