এমনিতে তাঁর জীবনে কোনও বিতর্ক নেই। খুব অল্প বয়সেই অভিনয় জগতে পা। প্রচারের আলো পেয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে শাসন ছিল বলেই কখনও সে ভাবে নাকি তাঁর প্রেম করা হয়নি। সম্বন্ধ করে চিকিৎসক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়। তার পর দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন, ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভরা সংসার। অভিনেত্রী এত বছর নিজের প্রথম প্রেমকে প্রকাশ্যে আনলেন! তিনিও এই ইন্ডাস্ট্রির। তবে অভিনেতা নন, টলিপাড়ার খ্যাতনামী গায়ক তিনি। অভিনেত্রী-রাজনীতিক শতাব্দী রায় জানালেন, সেই গায়কের মা ছিলেন তাঁর সহশিল্পী।
আরও পড়ুন:
শতাব্দীর বিয়ের পর থেকে অভিনয় জীবন থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। তার পর একটা সময় নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেন। যদিও তার পর একটা লম্বা সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ তিনি। যদিও সম্প্রতি ফের একটি বাংলা ছবিতে কাজ করলেন। অভিনেত্রী বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রেম করার সাহস ছিল না বলেই সম্বন্ধ করে বিয়ে করেন। এ ছাড়াও একটা ধারণা ছিল, সম্বন্ধ করে বিয়ে মানেই ভাল। তাই মা-বাবার পছন্দ উপরে আস্থা রাখেন। যদিও এক সময় তাপস পাল ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল সুপারহিট। তবে এই প্রেমটা ছিল তাঁর বিয়ের আগে। যখন শতাব্দীর বয়স ছিল ১৮। সেই সময় ওই গায়কের নাকি বেশ নামডাক। সংবাদমাধ্যমে তাঁর ছবি দেখে আরও বেশি প্রেমে পড়তে শুরু করেন। কিন্তু একটা সময় গিয়ে মোহভঙ্গ হয় তাঁর।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে নিজের ছোট্ট এই প্রেমের গল্পটি নিয়ে একটি ভিডিয়ো করেন। শতাব্দীর কথায়, ‘‘আমি আসলে খুব পছন্দ করতাম ওকে। এক পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যার শুটে পাতার জুড়ে ওর ছবি দেখে যেন পাগল হয়ে গেলাম। দেখে মনে হত আমার বয়সি। ওর মাকে গিয়ে বললাম ছেলেকে ভাললাগার কথা। তখন ওর মা জানায় আমার থেকে নাকি বয়সে অনেকটা সে বড়। কিন্তু তাও দমে যাইনি। তবে আমার মনের কথা সে কখনও জানতে পারেনি। কারণ প্রেমটা একতরফা ছিল।’’
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী টালিগঞ্জের এক স্টুডিয়োয় দেখা করতে যান সেই গায়কের সঙ্গে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁকে সামনাসামনি দেখামাত্রই মোহভঙ্গ হয়। তাঁকে দেখা না দিয়ে, আলাপ না করেই ফিরে আসেন! এখনও পর্যন্ত সেই গায়কের নাম প্রকাশ্যে না আনলেও, অভিনেত্রী খুব শীঘ্রই ওই গায়কের নাম জানাবেন বলেই কথা দিয়েছেন।