সিনেমার এক দৃশ্যে। ফাইল চিত্র।
সিনেমায় একটিও চুম্বনদৃশ্য নেই? শুনলে মনখারাপ হয়ে যায় হালের দর্শকের। লুকিয়ে-চুরিয়ে অনেকেই জেনে নিতে চান, কিছুই কি নেই? বিষয়টা জানেন নির্মাতারাও। তাই দর্শক টানতে চিত্রনাট্যে ঢুকিয়ে দেন অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। অবশ্যই যদি ছবির মূল বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়। তবে হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক সিনেমাপ্রেমী দর্শক বলবেন, বলিউডে চুম্বনদৃশ্য তুলনায় বেশ কম। অনেক সময় আড়ষ্ট, আরোপিত বলেও মনে হয়। কিন্তু কেন? ফাঁস হল সেই তথ্যই। বলিউড চুম্বনের নেপথ্যকাহিনি শুনলে চমকে উঠবেন অনেকেই।
পর্দার নায়ক-নায়িকারা যত চুমু খান তার বেশিরভাগই নাকি মিছিমিছি! ঠোঁটে ঠোঁট লাগাতেই হয় না এ সব চুম্বনদৃশ্যে! ক্যামেরার কারসাজিতে বোকা বনে যান দর্শকও। কারণ, দর্শকের ভাল লাগলেও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অনেক সময় চুমু খেতে চান না পরস্পরকে। সে জন্যই রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা।
প্রথমেই মনে আসতে পারে সলমন খানের কথা। তিনি তো বলিউডের ‘চিরকুমার’! যতই নায়িকাদের নিয়ে তাঁর সঙ্গে জল্পনা চলুক, পর্দায় কোনও দৃশ্যে চুমু খাননি সলমন। তা হলে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ কী ভাবে সম্ভব হল? কৃতিত্ব পরিচালক সূরজ বরজাতিয়ার। সলমন আর ভাগ্যশ্রী যখন চুম্বনদৃশ্যে রাজি হলেন না, দু’জনকেই কাচের গায়ে চুমু খেতে বলেছিলেন তিনি। সম্পাদনায় পরে সেটা জুড়ে দেওয়া হয়। শোনা যায়, এক বার খুব খেপে গিয়েছিলেন সলমন, যখন সাজিদ নাদিয়াওয়ালা ‘কিক’-এ একটি চুম্বনদৃশ্য রেখেছিলেন। পরে সলমনের জন্যই সেই দৃশ্য বাদ দিতে হয়েছিল পরিচালককে। তবে কিছু কিছু সিনেমায় নায়ক-নায়িকা স্বেচ্ছায় চুমু খেয়েছেন।
শুরুতে আড়ষ্ট লাগলেও সহজ করে দিয়েছিলেন নির্মাতারা। যেমন মনে পড়তে পারে ‘রাজা হিন্দুস্থানি’-র উত্তাল চুম্বনদৃশ্যের কথা। বৃষ্টি মাথায় আমির খানকে গাছের নীচে টেনে নিলেন করিশ্মা কপূর। তার পরই ঠোঁটে ঠোঁট একাকার। সেই দৃশ্য দেখলে শিউরে ওঠেন এ কালের দর্শকও। সে চুম্বনে হার মেনে যান এ যুগের ‘চুম্বন সম্রাট’ ইমরান হাসমিও, এমনও বলতে শোনা গিয়েছে দর্শককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy