আড্ডায় ঊষসী, মানালি, অদৃজা
গণ ধোলাইয়ের এক চুল আগে...
বয়ফ্রেন্ডের সম্মানে পুরো ইস্ত্রি ঘষে দিয়েছিলেন অদৃজা রায়! মা-বাবাকে লুকিয়ে ঠাম্মাকে পটিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুর দেখার প্ল্যান। বাড়ির পাঁচিল টপকে রাস্তায় অদৃজা। লং ড্রেস আর স্টিলেটো পায়ে। বেশ কিছুটা হাঁটার পরেই পা টনটন। নতুন জুতো ছাড়তে পারলে বাঁচেন। প্রেমিকের কাছে বেয়াড়া আবদার, ‘‘আমার জুতো তুই পর। তোর জুতো আমায় দে!’’ হয় কখনও?
বয়ফ্রেন্ড যথারীতি বেঁকে বসেছেন। অদৃজাও ছাড়ার পাত্রী নন। হঠাৎ নজরে এল, একটু দূরে তাঁর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে জনা তিনেক কাকুর বয়সী লোক। সঙ্গে সঙ্গে ড্রামা চালু, ‘‘দাদা, দেখুন না। আমায় একলা পেয়ে...’’। দাদাদের শিভ্যালরি জেগে উঠল। আস্তিন গোটাতে গোটাতে কাছাকাছি এসে কলার ধরতে যাবে, অদৃজার ফিসফিসানি, ‘‘এখনও সময় আছে। জুতো বদলাবি কিনা বল! বাঁচিয়ে দেব...’’
নিজেকে বাঁচাতে কী করেছিলেন অদৃজার প্রেমিক?
পকেটমারি থেকে গভীর অনুরাগী...
বন্ধুদের সঙ্গে বাজি। জিততে হলে মারকাটারি দেখতে এক যুবকের পকেটে নিজের ফোন নম্বর লেখা একটি চিরকুট রাখতে হবে পৌষালিকে। প্যান্ডেলে এক হ্যান্ডসামকে খুঁজেও পেয়েছেন। পকেটে হাত ঢোকাতেই ধরা পড়লেন পকেটমার। অবাক চোখে গায়িকাকে দেখে মন্তব্য, ‘‘এত সুন্দর সেজেগুজে পকেট মারতে লজ্জা করছে না?’’
পৌষালি কিছুতেই বোঝাতে পারছেন না, এটা বন্ধুদের কীর্তি! শেষে যার পকেটে হাত ঢোকাতে গিয়ে এই হাল সেই ছেলেটি নিজে গেলেন গার্ল গ্যাংয়ের কাছে। সবটা শুনলেন।
তারপর?
এরকম অনেক চটপটা কিস্যা শোনা যাবে নবমীর রাতে! যা আগে থেকে দেখে শুনে নিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। তারকাদের পুজো আড্ডার শ্যুট ভিসিটে।
ষষ্ঠী আসার আগেই নবমীর রাত নেমেছিল বৃহস্পতিবার টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর তিন নম্বর ফ্লোরে। মেঝে জুড়ে রঙ্গোলি। কাশ ফুলে সাজান মঙ্গল কলস। একটু দূরে দেবীর বেদি। সেখানে নানা বয়সের নারী-পুরুষ মেতেছেন পুজোর আয়োজনে। মঞ্চে সপরিবারে দুগ্গা মা এক চালায়, ডাকের সাজে। সেই বেদি থেকে একটু দূরে বসেছিল আড্ডাখানা। যেখানে আড্ডার ছলে আমন্ত্রিত সব্বার কিস্যা ফাঁস করছিলেন ঊষসী রায়, মানালি মনীষা দে।
হঠাৎই সেখানে হাজির ভূতু! নবমীর ভোগ নিবেদনের আয়োজন চলছে। ঊষসী রায়কে ম্যাজিক দেখিয়েই হাওয়া সে!
আরও পড়ুন: ছেলের ১ মাস বয়সের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন রাজ চক্রবর্তী
‘সারেগামাপা’ খ্যাত শোভন, পৌষালি, কৌশানি, তন্ময় আর জয়তি চক্রবর্তী একের পর এক নানা স্বাদের গান শুনিয়েছেন। পৌশানির গানের তালে একবার নেচেই উঠলেন উষসী, অদৃজা, মানালি। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে তখন হাল্কা ঢাকের বাদ্যি।
সবার সাজগোজও ছিল জব্বর। মানালি আর অদৃজা নেভি ব্লু, গোলাপি শাড়িতে রংমিলন্তি। লেহেঙ্গা শাড়িতে গর্জাস ঊষসী। পৌশানির পরনে জমকালো তাঁতের শাড়ি। কৌশানি আর জয়তি সেজেছেন সিল্কের শাড়িতে। শোভন এবং তন্ময় ধাক্কা পেড়ে ধুতি, পাঞ্জাবিতে পাক্কা বাঙালি বাবু।
আরও পড়ুন: হারানো জায়গা দখল করল ‘মোহর’, পিছিয়ে গেলেন ‘রানিমা’
ছিল ভোগ নিবেদন। বলির আয়োজন। ঘরে বসা বাঙালি যাতে উৎসবের আনন্দ একটুও মিস না করেন তার জন্য জি বাংলা প্রতি বছরের মতোই এ বছরেও ক্যামেরা বন্দি করছে দুর্গোৎসব। পুজো শুরুর আগেই শুট কমপ্লিট পঞ্চমী টু অষ্টমী। রাত ১১টায় টিভি খুললেই পর্দা জুড়ে মহামায়ার উপস্থিতি।
আর হ্যাঁ, আড্ডায় গানা-বাজানার সঙ্গে খানা-পিনার আয়োজনও ছিল। কী কী ছিল মেনুতে? এই কৌতূহলটুকু নবমীর রাতের জন্য তোলা থাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy