Advertisement
১০ নভেম্বর ২০২৪
sushmita sen

Susmita Sen: কিসের টানে ললিতে মজলেন ৪৬ পেরোনো সুস্মিতা! কী বলছেন দেবযানী, শ্রীলেখা?

সত্যিই কি মধ্যবয়সে কূলছাপানো প্রেম আসে? এই বয়সের ডেটের নেপথ্যে কী? যৌনতা, অর্থ নাকি প্রেম! কিসের খোঁজে ললিত মোদীর সঙ্গে সম্পর্কে সুস্মিতা?

দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র কী বলছেন ললিত-সুস্মিতার প্রেমের খবরে?

দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র কী বলছেন ললিত-সুস্মিতার প্রেমের খবরে?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২ ১৯:০০
Share: Save:

৪৬ পেরিয়েও প্রেম! কিন্তু কেন? সুস্মিতা সেন-ললিত মোদীর সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পরে ওঠা হাজারো প্রশ্নের অন্যতম এটি। উত্তরে সুস্মিতা তো ঘুরেফিরেই প্রেমে পড়েন— এমন কথাও আছে। আবার বহু জনের নাকি বক্তব্য, তিন বার প্লাস্টিক সার্জারি, দুই সন্তানের প্রতিপালন, নিজের তারকাসুলভ ঠাঁটবাট বজায় রাখতেই নাকি অর্থের বিনিময়ে ললিতের অবসর সঙ্গিনী ‘ম্যায় হুঁ না’র ‘চাঁদনি’! সিরিজ ‘আর্যা’ ছাড়া বহু দিন অভিনেত্রীর হাতে কোনও কাজ নেই!

সত্যিই কি মধ্যবয়সে কূল ছাপানো প্রেম আসে? এই বয়সের এমন সম্পর্কের নেপথ্যে কী? যৌনতা, অর্থ নাকি প্রেম! আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্রের কাছে। দু’জনেরই ‘মধ্যবয়স’ শব্দে ঘোর আপত্তি। একই সঙ্গে প্রশ্ন, সুস্মিতা সেন প্রেম বা শরীরী সম্পর্ক করবেন কি করবেন না, সেটা নিয়েই বা কেন এত আলোচনা? কারণ, এটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। দেবযানীর মতে, ‘‘অর্থের প্রয়োজনে সুস্মিতা ডেট করছেন, এই ধরনের মন্তব্য যাঁরা করছেন, তাঁরা কি সুস্মিতার পড়শি? নাকি তাঁর পরিজন? ওঁরা কি অভিনেত্রীর সঙ্গে দিনযাপন করেন? নইলে কী করে জানলেন, ওঁর অর্থের অভাব!’’ এই ধরনের মন্তব্য যাঁরা করেন, দেবযানীর চোখে তাঁরা অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া মানসিকতার। অভিনেত্রীর কথায়, এঁরা নিজেরা প্রেম করতে পারেন না। অন্যদের দেখে জ্বলেন। একুশ শতকে দাঁড়িয়েও কোনও তথাকথিত ‘মধ্যবয়সিনী’র ডেটের খবরে তাই এই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানান।

ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন সমাজকে। জানতে চেয়েছেন, ‘‘প্রেম কখনও বয়স দেখে আসে? মধ্যবয়সে এসে জীবন কি থেমে যায়? তা হলে মাঝবয়সি প্রেমে শুধুই যৌনতা বা স্বার্থসিদ্ধির প্রসঙ্গ আসবে কেন?’’ দেবযানীর দাবি, শুধু সুস্মিতা কেন, প্রয়োজন পড়লে তিনিও সাহচর্য খুঁজতেই পারেন। কে কী বলল, পাত্তা দেবেন না মোটেই। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখতে পছন্দ করবেন।

প্রেমে পড়ায় একেবারেই বারণ নেই শ্রীলেখা মিত্ররও। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেত্রী নিজেও যথেষ্ট রোমান্টিক। সেই অনুভূতি থেকেই তাঁর উত্তর, ‘‘প্রেমে পড়া ভাল। বারে বারে প্রেমে পড়া আরও ভাল। এতে মন সবুজ থাকে। জীবনে যত দিন প্রেম, তত দিনই মানুষ সতেজ, সবুজ। জীবন প্রেমহীন মানেই মনে বয়সের থাবা।’’ প্রেমের ভাঁড়ারে টান পড়লেই মানুষ বুড়ো হতে শুরু করে। প্রেমের ক্ষেত্রে ৪৬ এখনকার দিনে কোনও বয়সই নয় বলেই তাঁর মত।

এই প্রসঙ্গে শ্রীলেখা নিজের মা-বাবার উদাহরণও টেনেছেন। বলেছেন, ‘‘আমার মা-বাবার হাতেই মোবাইল থাকলে তাঁদের বিয়ে সম্বন্ধ করে হত না! ওঁরা প্রচণ্ড রঙিন ছিলেন।’’ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এখন ডেটিং অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। সেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সঙ্গ, যৌনতা বা ভালবাসা খোঁজেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মধ্যবয়সের ডেট নিয়ে এত চর্চার কারণই তিনি খুঁজে পান না। পাশাপাশি, নিজের জীবন নিয়ে খানিক হতাশাও প্রকাশ করে ফেলেছেন শ্রীলেখা— ‘‘আমার একটু বাছবিচার আছে। এক জন পুরুষের মধ্যে অনেক পুরুষের সমস্ত গুণ খুঁজি। যা সাধারণত হওয়ার নয়। তাই আজও সফল, সর্বগুণসম্পন্ন পুরুষ ‘প্রেমিক’ হয়ে আর আমার জীবনে এল না!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE