প্রতিবাদী মনোময় ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
অস্থির সময়, অস্থির পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি। অস্থির মানুষের মনও। গায়ক মনোময় ভট্টাচার্যের অভিযোগ, তারই সুযোগ নিচ্ছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। এই আবহে তাঁরা খ্যাতনামীদের অকারণ কটাক্ষে জেরবার করে ফেলছেন। যার জেরে উপার্জন থেকে রাতের ঘুম— সবটাই যেতে বসেছে। সম্প্রতি, এমনই একটি ভিডিয়োবার্তা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করলে গায়ক ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেছেন, “এখন সকলের হাতে মুঠোফোন। আট থেকে আশি তাই সমাজসচেতন। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের। কথায় কথায় শিল্পীদের কটাক্ষ করাটাই যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে! চাইলেই এখন আমাদের যা খুশি বলে দেওয়া যাচ্ছে।”
কী হয়েছে মনোময়ের সঙ্গে? তাঁর কথায়, “প্রতিবাদ আমাদের ভিতরেই রয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দিনযাপন করছি। তার মানে কি কাজকর্ম ছেড়ে দিতে হবে?” শিল্পীর বিস্ময়, খাওয়া থেকে ঘুম— কেউ তো কিছু বন্ধ রাখছেন না। অথচ শিল্পীরা গান গাইলে, গানের অনুষ্ঠান করলে, মিছিলে হেসে ফেললে কটাক্ষের শিকার। তাঁর দাবি, একই অবস্থা বিনোদন দুনিয়ার অভিনেতাদেরও। উদাহরণ হিসেবে তিনি সম্প্রতি শ্যামবাজারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে মনে করিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, “যাঁর উপরে যতই বিরক্তি থাক, প্রকাশ্যে তাঁকে এ ভাবে হেনস্থা করা কি কাম্য? ঋতুপর্ণা হয়তো মন থেকেই রাত দখলে অংশ নিতে এসেছিলেন।”
২২ সেপ্টেম্বর শহরে গায়ক মহম্মদ রফির স্মৃতিতে এক গানের জলসার আয়োজন করা হচ্ছে। সে কথা জানিয়ে মনোময় বলেছেন, “অংশ নিতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু, উদ্যোক্তাদের মুখ চেয়ে রাজি হতে হয়েছে। কারণ, টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তার বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসতেই আমাকেও খারাপ কথা শুনতে হচ্ছে।” গায়কের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে তাঁর যত লজ্জা, মৃতা তরুণী চিকিৎসককে নিয়ে ততটাই গর্ব। একটি মেয়ে বিশ্বকে এক সূত্রে গেঁথে ফেলেছেন। সেই জায়গা থেকে মৃতার জন্য ন্যায়বিচার না চেয়ে খ্যাতনামীদের পিছনে অকারণ এতটা সময় খরচ করাকে আদৌ বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy