‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। হিন্দি ধারাবাহিকে মাইলফলক হয়ে থেকে গিয়েছে স্মৃতি ইরানি অভিনীত ‘তুলসী’ চরিত্রটি। টানা আট বছর ধরে চলেছিল এই ধারাবাহিক। তার পর স্বেচ্ছায় সরে আসেন টেলিভিশন থেকে। অভিনয় জীবন থেকে নিজেকে রাজনীতির ময়দানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অভিনেত্রী থেকে বিজেপি নেত্রী। সাংসদ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। লম্বা এক সফর। চড়াই-উতরাই কম ছিল না স্মৃতি ইরানির জীবনে। যদিও রাজনীতির ময়দানে স্মৃতির ইরানির সঙ্গে পর্দায় দেখা ব্যক্তিত্ব ফারাক বিস্তর। কেউ কেউ তাঁকে ‘উদ্ধত’ তকমা দিয়েছেন। সেই দায় মাথা পেতে নিয়েছেন। কিন্তু কেন ‘উদ্ধত’, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী হওয়ার আগে এক বহুজাতিক বেকারি সংস্থার বিপণন কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। দোকান ধোয়ামোছার কাজ ছাড়া অন্য কাজ ওখানে ছিল না তখন। জীবিকার প্রয়োজনে সে কাজই করতে হত তাঁকে। প্রতি মাসে বেতন পেতেন ১৫০০ টাকা। সেই টাকা সঞ্চয় করে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় যোগ দেন স্মৃতি। সেই শুরু। তারপর পিছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি। কিন্তু পর্দায় দেখা গৃহবধূর সঙ্গে রাজনীতির স্মৃতির অমিল দেখে অনেকেই তাঁকে নিয়ে সমালোচন করেছেন। এই প্রসঙ্গে স্মৃতির জবাব, তিনি মানছেন তিনি ‘উদ্ধত’। কিন্তু তাঁর উদ্ধত হওয়ার নেপথ্যে কারণ আছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আমার ধর্ম নিয়ে গর্বিত। হিন্দু হওয়ার জন্য যদি কেউ উদ্ধত বলে তা হলে আমি তা-ই। যদি নিজের দেশকে নিয়ে গর্ব করা উদ্ধতের পরিচয়, তবে তা-ই।’’