বলিউডের বাইরেটা যত ঝাঁ-চকচকে, অন্দরে ততই নাকি মালিন্য! এই অভিযোগ বলিউডের প্রায় প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর। কেন মায়ানগরীর নামে এত বদনাম? এ ছাড়়া, বহুচর্চিত ‘স্বজনপোষণ’-এর অভিযোগ তো আছেই। আর রয়েছে প্রতি পদক্ষেপে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির তৈরি করে দেওয়া বৈষম্য! এ বিষয়ে বেশির ভাগ অভিনেত্রীই কমবেশি মুখ খুলেছেন। এ বার মুখ খুললেন নুসরত ভরুচা। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, “আমাদের ভ্যানিটি ভ্যানের বাথরুম এত অপরিচ্ছন্ন যে, বাধ্য হয়ে নায়কের বাথরুমের দরজায় ধাক্কা দিতে হয়েছিল!”
পরিচ্ছন্ন বাথরুম মেয়েদের বেশি প্রয়োজন। ইন্ডাস্ট্রির নাকি সে সবে মাথাব্যথা নেই! শোনা যায়, অতীতে আউটডোর শুটিংয়ের সময় নায়িকারা বাধ্য হয়ে ঝোপঝাড়ের পিছনেও শৌচকর্ম করতেন! “অব্যবস্থা আজও কমেনি। প্রায়ই আমরা নানা কারণে নায়কদের ভ্যানিটি ভ্যান ব্যবহার করতে বাধ্য হই।” এই বৈষম্যে স্বাভাবিক ভাবেই তীব্র আপত্তি তাঁর। শুধু ভ্যানিটি ভ্যান নয়, ছবি হিট হওয়ার পরে একজন নায়কের ভাগ্য যত দ্রুত বদলে যায়, নায়িকার ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয় না। নায়িকাকে আরও হিট ছবির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তত ক্ষণে নায়কের পারিশ্রমিক বেড়ে দ্বিগুণ!
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে তিনি বিমানে যাতায়াতের বৈষম্যের কথাও বলেছেন। নামী নায়িকা বা অভিনেত্রী না হলে ‘বিজ়নেস ক্লাস’-এর টিকিট মেলে না, দাবি তাঁর। এই প্রসঙ্গে নিজের সঙ্গে ঘটা একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন নুসরত। “আমরা শুটিং করতে বাইরে যাচ্ছি। কয়েকটি ছবি করায় আমার পরিচিতি বেড়েছে। কিন্তু বিমানের টিকিট সেই ‘ইকনমি ক্লাস’-এর! হঠাৎ দেখলাম, ‘বিজনেস ক্লাস’-এ বসা টিমের একজন সেখানে গিয়ে বসতে বললেন।” নুসরত সে দিন রাজি হননি। বাকিদের সঙ্গে বিমানসফর করেছেন। অভিনেত্রীর যুক্তি, “আমার নামে ‘বিজ়নেস ক্লাস’-এর টিকিট কাটা হয়নি। তাই সহযাত্রীর সেই ডাক অগ্রাহ্য করেছিলাম।”