কয়েক মাস আগে কলকাতার মেট্রো স্টেশনে যুগলের চুম্বন দেখে রে রে করে উঠেছিলেন নীতি পুলিশেরা। কী ভাবে জনসমক্ষে এমন ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়? প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। সেই নীতি পুলিশদের চোখ কি এ বার সোনাক্ষী সিন্হা ও জ়াহির ইকবালের দিকে? কারণ, সাধারণের যানবাহন ট্রেনের মধ্যে এ বার প্রেমে মাতলেন তারকাদম্পতি। কখনও পরস্পরকে চুম্বন করলেন, কখনও আবার পরস্পরকে উষ্ণ আলিঙ্গন করলেন। ট্রেনের ভিতর ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্ত নিজেরাই সমাজমাধ্যমে তুলে ধরলেন।
সুইৎজ়ারল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছেন সোনাক্ষী ও জ়াহির। সেখানে সুসময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। ট্রেনে সফরের সময়েও পরস্পরকে কাছছাড়া করলেন না তারকাদম্পতি। সোনাক্ষীকে দেখা গেল ডেনিম প্যান্ট ও নীল রঙের সোয়েটার ও তার উপর কালো জ্যাকেটে। অন্য দিকে, জ়াহিরের পরনে গোলাপি রঙের প্যান্ট ও ঘিয়ে রঙের টি-শার্ট। এই বেশেই সফর করছিলেন তাঁরা। কখনও তাঁরা ট্রলি ব্যাগের উপর বসে খুনসুটি করছেন। কখনও আবার জ়াহিরের কাঁধে মাথা রেখে শুয়ে রয়েছেন সোনাক্ষী। তবে এই ছবিগুলি দেখে রে রে করে ওঠেননি নীতি পুলিশেরা। বরং অনুরাগীরা যুগলের রসায়ন দেখে মুগ্ধ।
আরও পড়ুন:
সোনাক্ষী ও জ়াহির দু’জনেই জানিয়েছেন, সুইৎজ়ারল্যান্ডের ট্রেনে যাতায়াত করা বেশ সুবিধাজনক। প্রায়ই তাঁরা যাতায়াত করতে পারেন। সোনাক্ষী ও জ়াহিরের এই রসায়নই পছন্দ তাঁর অনুরাগীদের। প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে মশকরা করেন জ়াহির। এই বন্ধুত্বপূর্ণ রসায়নই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে মনে করেন তাঁদের অনুরাগীরা। জ়াহিরের সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক সোনাক্ষীর। শোনা যায়, ভিন্ধর্মের সম্পর্ক বলে অভিনেত্রীর পরিবার নাকি প্রথমে মেনে নিতে চায়নি। কিন্তু হার মানেননি সোনাক্ষী বা জ়াহির কেউই। ২০২৪ সালের ২৩ জুন বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। বিয়েতে ছিল না কোনও ধর্মীয় আচার। আইনি বিয়ে সেরে তাঁরা আয়োজন করেছিলেন প্রীতিভোজের।