‘তখন কুয়াশা ছিল’য় সৌমিত্র
মাস্টারমশাই এবার সব দেখেছেন!
এই মাস্টারমশাই ‘আতঙ্ক’-এর নন। ক্ষমতার বিরুদ্ধে ভয় না পেয়ে যিনি ছাত্রকে শেখাচ্ছেন প্রতিবাদের ভাষা। বলেন, সাফল্যের মাপকাঠি অর্থ দিয়ে নয়, কাজ দিয়ে যাচাই করতে হয়।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের উপন্যাস ‘তখন কুয়াশা ছিল’ অবলম্বনে শৈবাল মিত্রর নতুন ছবিতে তাঁকে এবার দেখা যাবে এক প্রবীণ মাস্টারমশাইয়ের চরিত্রে।
এই মাস্টারমশাই বেগমপুর গ্রামের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মধ্যে ঢুকতে বাধ্য হলেন। তাঁর প্রাণের চেয়েও প্রিয় ছাত্র শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে উদ্ধার করবেন বলে।
শ্যুটিং স্পট থেকে শাশ্বত বললেন, ‘‘এবার সৌমিত্রজেঠুর সঙ্গে গাড়িতে যাতায়াত করার সময় গান আর কবিতা নিয়ে প্রচুর আড্ডা হয়েছে। আর এই ছবিতে এমন একটা চরিত্র করছি যে আদপে এক ভিতু লোক। গ্রহের ফেরে সে এমন শক্তিশালী হয়ে যায় যে, সকলে তাকেই ভয় পেতে থাকে।’’
তপন সিংহের ‘আতঙ্ক’-র সঙ্গে কি এ ছবির কোনও মিল পাওয়া যাবে?
ছবির একটি দৃশ্যে: শাশ্বত
বোলপুরের কাছে ধাল্লা গ্রামে শ্যুট করতে-করতে ‘শজারুর কাঁটা’-র পরিচালক শৈবাল মিত্র বললেন, ‘‘এই ছবিতে ৮৩ বছরের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ‘আতঙ্ক’-র মাস্টারমশাইয়ের চেয়ে অনেক আলাদা। এমন সব শট দিচ্ছেন সৌমিত্রদা, চমকে যাচ্ছি আমরা।’’
রাজনীতির বাইরের মানুষ পাকেচক্রে কেমন করে রাজনীতির কোন্দলে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়, এই ছবি সে গল্পই বলবে। সাধারণ মানুষ কি তাহলে আর রাজনীতির বাইরে স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবে না? প্রশ্ন ছবির কাহিনিতে।
শুধুই ধ্বংস নয়। ছবিতে নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে। এই নির্মাণের পথ ধরে আসে মাস্টারমশাইয়ের নাতনি। অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়কে এখানে দেখা যাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাতনির চরিত্রে। তিনিই স্বপ্ন দেখাবেন দিগভ্রান্ত মাস্টারমশাইয়ের ছাত্র শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার।
কিন্তু শাশ্বত? তিনি যে বীতরাগ এক পুরুষ। ভুগছেন অবসাদে? তিনি কি ছুঁতে পারবেন বাসবদত্তার স্বপ্নকে? তাঁর প্রেমকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy