রাজের ‘ধর্মযুদ্ধ’ -এর প্রশংসায় সৌরভ, নিন্দায় তথাগত।
তিন বছরের প্রতীক্ষা শেষ। ১১ অগস্ট মুক্তি পাচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’। রাজের পাশে এ বার স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পরিচালক এবং তাঁর ছবি অভিনেতাদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘দাদা’। সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ‘ধর্মযুদ্ধ’ দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন। রাজের ছবি ঘিরে এমনিতেই দর্শকদের বাড়তি আগ্রহ। ‘মহারাজ’-এর সমর্থন কি বাড়তি চাপ তৈরি করল?
আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ছবিটি দেখানো হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তখনই ছবিটি দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ফলে, বাড়তি কোনও প্রত্যাশার চাপ তাঁর কাঁধে নেই। বরং ভরসা রাখছেন তাঁর অনুরাগীদের উপরে, যাঁরা তাঁর ছবি ভালবেসে দেখেন। এ বারেও যে তার অন্যথা হবে না, তেমনই আশা রাজের।
এ দিকে, ‘মহারাজ’-এর সমর্থনের আগেই বিরোধী দলের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকে নিয়ে কুৎসা ছড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী একটি পার্টির একজন ‘কামিনী’ দুঃখিত প্রার্থী ছিলেন না? এখন মানুষের পরিচয় বোঝাতে ময়দানে নেমেছেন? বেশ বেশ।’ পার্নোকে বয়কটের ডাকও দিয়েছিলেন তিনি।
একটি ছবিকে ঘিরে এমন বিপরীত মতামত। ‘ধর্মযুদ্ধ’ কি ধর্মসঙ্কটে? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। রাজের কথায়, ‘‘আমিও দেখেছি। খুবই খারাপ লেগেছে। কিন্তু এক জন বর্ষীয়ান নেতাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে তথাগত রায়ের এই অভ্যাস নতুন নয়। উনি নারীদের সম্মান করতে জানেন না। প্রায়ই মহিলাদের উদ্দেশে বাজে শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। এটাই বোধহয় ওঁর বিশেষত্ব।’’ পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছে, এক জন পাশে থেকে সমর্থন জানাচ্ছেন। আর এক জন কুৎসা ছড়াচ্ছেন! দু’জনের আচরণই বলে দিচ্ছে, কে কেমন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy