হঠাৎ করে রটে গেল আমি নাকি কাঞ্চন মল্লিকের প্রেমে পড়েছি।
অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে আমরা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এমনিতেই আমাদের নিয়ে গল্পের শেষ নেই। কারওর সঙ্গে জড়িয়ে দিতে পারলে আরও ভাল। আমার কথাই ধরুন। মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করে রটে গেল আমি নাকি কাঞ্চন মল্লিকের প্রেমে পড়েছি। রাজনীতির সূত্র ধরে আমাদের নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই নিয়ে নেটমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম ছয়লাপ। কেউ একবারও কাঞ্চনদা, তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমার কাছে জানতেও চাইলেন না! দুমদাম ছড়িয়ে-মাখিয়ে দিলেন! কী অদ্ভুত।
আচ্ছা, আমাদের অভিনেত্রীদের কি বাড়ি-ঘর নেই? সংসার নেই? লোকলজ্জার ভয় নেই? নাকি, অভিনয় করি বলে সে সবের পাট চুকিয়ে দিয়েছি! বাধ্য হয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালে তাই কলম ধরেছি। আমাদের কথাও শুনুন। অভিনয় সূত্রে, রাজনীতির সূত্রে আমার সঙ্গে প্রচুর মানুষের আলাপ। অভিনেত্রী বলে সহজলভ্য নই। যাঁর সঙ্গে আমায় দেখবেন তিনিই আমার প্রেমিক নন, এটা বুঝুন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে প্রচুর জনসভা করেছি। প্রচারে অংশ নিয়ে। কাঞ্চনদার হয়েও প্রচার করেছি। আপনারা কী বলতে চাইছেন? যত জনের হয়ে প্রচার করেছি তত জনের সঙ্গে আমার প্রেম?
আমি তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। কাঞ্চনদার সঙ্গে আমার তখন থেকে আলাপ। ‘বাবুসোনা’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সূত্রে। আমার থেকে ২৭ বছরের বড়। কাঞ্চনদা অভিনয় শিখিয়েছেন আমায়। কী করে ক্যামেরা ফেস করতে হয় দেখিয়ে দিয়েছেন। উনি, খরাজ মুখোপাধ্যায় আমার শিক্ষাগুরু। ওঁদের সঙ্গে আমার প্রেম সম্ভব?
আমি পিঙ্কিদির চেতলার বাড়িতে গিয়েছি। খাওয়াদাওয়া করেছি। কাঞ্চনদা-পিঙ্কিদির একটা ফুটফুটে ছেলে আছে। সুখী দম্পতি ওঁরা। লকডাউন উঠলে এক সঙ্গে বেড়াতে যাব ২ পরিবার। সে সবও পরিকল্পনা চলছে। তার মধ্যে হুট করে এই প্রেমের ব্যাপার ঢুকে পড়ল। আমার সামাজিক পাতা থেকে ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই গুজব ছড়ানো হয়েছে, আমি নাকি কথার ভাঁজে কাঞ্চনদাকে প্রেম নিবেদন করছি। কী লিখেছি আমি? জীবন বড়ই অনির্দিষ্ট। আর কী করেছি? নিজের বাড়ির ছাদে বৃষ্টিতে ভেজার ছবি দিয়েছি। বেশ কিছু জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করেছি এক সঙ্গে। এই আমার দোষ।
আরও একটি কাজ করেছি। গত বছর ডিসেম্বরে একটি বাংলা রিয়েলিটি শো-এ অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে কাঞ্চনদাও ছিলেন। তখন রমরমিয়ে ‘টুম্পা সং’ চলছে। চ্যানেলের সাজঘরে আমরা একটা রিল ভিডিয়ো বানিয়েছিলাম। সেটা পোস্ট হয়েছিল। এক বছরের পুরনো সেই পোস্ট তুলে এনে এখন কাটাছেঁড়া চলছে! গত এক বছর ধরে এই সম্পর্ক আমরা লুকিয়ে রাখলাম। কেউ টের পেলেন না! এটা সম্ভব? আমি আক্ষরিক অর্থেই এ বার ভয় পাচ্ছি। আজ আমার দাদা বা বাবা অল্পবয়স্ক, সুপুরুষ হলে কোনদিন শুনব তাঁদের সঙ্গেও ‘বিশেষ সম্পর্ক’ আছে আমার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy