হাতেগোনা কয়েকটি দিন। টিজ়ার, ছবির একের পর এক গান প্রকাশ্যে। ‘প্রজাপতি ২’ যখন ডানা মেলার আগের মুহূর্তে, আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে ছবি নিয়ে কথা বললেন কাহিনি-চিত্রনাট্যকার শুভদীপ দাস।
‘প্রজাপতি’তেও দেবের দুই নায়িকা— কৌশানী মুখোপাধ্যায় আর শ্বেতা ভট্টাচার্য। সিক্যুয়েলেও তা-ই। ইধিকা পাল, জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। এই সাদৃশ্য ছাড়া দুটো ছবির মধ্যে আর কী কী সাদৃশ্য? প্রশ্ন শুনেই সজাগ শুভদীপ। “তা হলে তো কাহিনিটাই বলে দিতে হয়। দর্শক তা হলে পর্দায় দেখবেন কী?” মৃদু হেসে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। তার পর যোগ করেছেন, “পটভূমি থেকে গল্পের বাঁধন হয়ে চরিত্র নির্বাচন— মিল পাবেন না। আমরা যেমন বর্তমানে থেকেও মাঝেমধ্যে অতীত ছুঁয়ে যাই, এই ছবির গল্পও তেমনই। ছবিতে দেব ‘একা বাবা’। এ বার পর্দায় ইধিকার মৃত্যু না হয়ে অন্য কিছুও তো হতে পারে!” রীতিমতো জল্পনা উস্কে দিলেন নায়কের পাঁচটি ছবির কাহিনি-চিত্রনাট্যকার! সাদৃশ্য আরও একটি রয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তী আর দেব। আবার তাঁরা বাবা-ছেলে, জানিয়েছেন তিনি।
কাহিনি-চিত্রনাট্যকারের আরও পরিচয় আছে। তিনি ‘প্রজাপতি ২’-এর পরিচালক অভিজিৎ সেনের ডান হাত। রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’ পরিচালনা করেন। দেবের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ‘খোকা ৪২০’-এর আমলে। “ওই ছবির কাহিনি-চিত্রনাট্যকার আমি”, বললেন তিনি। অর্থাৎ, শুভদীপ বিনোদনদুনিয়ায় দেবের বদল দেখেছেন। কেন ‘পাগলু’র দেব নিজেকে এত বদলে ফেললেন? শুভদীপের মতে, “দেব জানেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে হয়। কারণ, দর্শকের রুচি প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে।” দেবের এই বদলকে শুভদীপ তাই ইতিবাচক হিসাবেই দেখেন।
শুধুই অভিনয়ের ধারা নয়, চরিত্র হয়ে উঠতে দেব নিজেকে আগাগোড়া বদলাতে রাজি। জানালেন কাহিনি-চিত্রনাট্যকার। “যেমন, এই ছবির আগে ‘রঘু ডাকাত’-এর জন্য চুল, দাড়ি, গোঁফ, ওজন— সব বাড়িয়েছিলেন। ‘প্রজাপতি ২’-এর জন্য ফের চুলের ছাঁট বদলেছেন। ওজন ঝরিয়েছেন। চোখে চশমা পরতে হবে। বলতেই রাজি। দেবের প্রচণ্ড কাজের খিদে। আর কোনও কিছুতে ‘না’ বলতে শেখেনি। সারা ক্ষণ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য ছটফট করছেন।”
‘খাদান’ থেকে দেব কার্যকর পরিচালক। এই ছবিতে? কাহিনি-চিত্রনাট্যকার হেসে জানিয়েছেন, হাত-পা ছড়িয়ে আরাম করে সকলকে নিয়ে অভিনয় করেছেন। আরও মজার ব্যাপার, এ দেশে ছবির যে অংশ শুট হয়েছে, সবটাই হয়েছে শুভদীপের বাড়িতে!
আরও পড়ুন:
‘প্রজাপতি’, ‘প্রধান’, ‘প্রজাপতি ২’— পরপর তিনটি ছবিতে দেবের বিপরীতে ছোটপর্দার নায়িকারা। বয়সের ব্যবধানও যথেষ্ট! পরিচালক এবং কাহিনি-চিত্রনাট্যকার ছোটপর্দার বলেই?
জবাব দেওয়ার আগে হা-হা হাসি। শুভদীপ বললেন, “একেবারেই তা নয়। সব কিছু হয়েছে চিত্রনাট্য মেনে। আমাদের মনে হয়েছে, সময়ের তালে তাল মিলিয়ে নতুন নায়িকা নিতে হবে। তাই যাঁকে মানায়, তাঁকেই আমরা নিয়েছি।” আর বয়সের ব্যবধান নিয়ে চর্চায় ক্ষুণ্ণ কাহিনি-চিত্রনাট্যকারও। তাঁর মতে, গল্প লেখার পর অভিনেতা বাছা হয়। ফলে, স্বজনপোষণের কোনও সম্ভাবনাই নেই!
শুভদীপের চোখে দেবের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি মানায় কোন নায়িকা? ফোনের ও পারে একটু নীরবতা। শুভদীপ বলে উঠলেন, “দেবের অনেক পুরনো ছবি দেখেছি তো। সেই চোখ বলে, ওর বিপরীতে শুভশ্রীকে মানায় ভাল।”