শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
অতিমারিতে শরীর খারাপ হবে, মনও। একা ঘরে নিজের সঙ্গে কত আর সময় কাটানো যায়? কারই বা এ ভাবে সময় কাটাতে ভাল লাগে? বিশেষ করে তিনি যদি একরত্তি সন্তানের মা হন! শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ঠিক সেই দশা। দুটো প্রতিষেধক নিয়েছেন। এর আগেও করোনা হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও তিনি সংক্রমণে আক্রান্ত। আক্রান্ত বিধায়ক-পরিচালক স্বামী রাজ চক্রবর্তীও। রোগের ফলাফল ইতিবাচক হলে পরিবেশ, পরিস্থিতি, নেতিবাচক হওয়াই স্বাভাবিক। শুভশ্রী কিন্তু সেখানেই সব দিক থেকে ইতিবাচক।
কী ভাবে? এই সময়ের জন্য দুধ সাদা সালোয়ার কামিজ বেছে নিয়েছেন। যাতে শরীর-মন শান্ত এবং ইতিবাচক থাকে। কড়া নজর শরীরের দিকে। মেঝেতে আসনের উপরে শিরদাঁড়া টান করে বসেছেন। চোখ বুজে মন দিয়েছেন প্রাণায়াম করছেন। করেছেন কপালভাতিও। এই দুই আসনে মন শান্ত হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। মন ভাল রাখতে এ ভাবেই অনেকটা সময় শুভশ্রী কাটাচ্ছেন নিজের মতো করে। নেপথ্যে অল্প আওয়াজে বেজে চলেছে আবহ সঙ্গীত।
অসুস্থ হওয়ার পরে রাজ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, একটি ঘরে তিনি আর শুভশ্রী। একটি ঘরে তাঁর মা লীলা চক্রবর্তী। অন্য আরও একটি ঘরে তাঁদের এক মাত্র ছেলে ইউভান। খুদেকে দেখতে পাচ্ছেন না। ফলে, দু’জনেরই খুব মন খারাপ। শুভশ্রী সেই মন খারাপ কাটানোরও দাওয়াই বের করেছেন। আপাতত মোবাইলে ভিডিয়ো কল করে ছেলের সঙ্গে আড্ডা মারছেন। ইউভানও মা-বাবাকে দেখতে পেয়ে উল্লসিত। আধো আধো গলায় কখনও ডেকে উঠছে ‘বাবাজি’, কখনও ‘মাম্মা’!
মঙ্গলবার রাতে টুইট করে সস্ত্রীক করোনা সংক্রমণের কথা জানান ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক। দু’জনেই বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। অনুগামীদের কোভিড বিধি মেনে চলার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy