Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন সুশান্ত, মাঝপথে বন্ধ করেছিলেন ওষুধ’

ওই ডাক্তার জানান, গত বছর নভেম্বরে সুশান্ত তাঁকে বলেছিলেন, আর নাকি বেঁচে থাকার ইচ্ছাই নেই তাঁর। যত বার সুশান্ত তাঁর কাছে এসেছিলেন তত বারই নাকি সঙ্গে থাকতেন রিয়া, জানা যাচ্ছে এমনটাই।

সুশান্ত সিংহ রাজপুত।

সুশান্ত সিংহ রাজপুত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২০
Share: Save:

সুশান্ত তদন্তে মাদক পাচার ও সরবরাহ কাণ্ডে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র জালে বৃহস্পতিবার ধরা পড়ল আরও এক মাদক পাচারকারী। এ ছাড়াও বেঙ্গালুরুর আরও এক ব্যক্তিকে মাদক পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে ডেকে পাঠিয়েছে এনসিবি।

শোনা যাচ্ছে, মাদক কাণ্ডে শনিবার জিজ্ঞাসবাদের জন্য ডাক পড়তে পারে রিয়ার ভাই শৌভিকের। পাশাপাশি, এ দিনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়া চক্রবর্তীর বাবাকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। ডাক পড়েছিল সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিরও। এ ছাড়া সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সেই কোম্পানির সিইও সাজদে’কেও এ দিন জেরা করেছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই একই কোম্পানিতে কাজ করতেন সুশান্তের আর এক প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানও। সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পাঁচ দিন আগেই আত্মহত্যা করেন দিশা। সাজদে আবার ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মার ভায়রাভাই।

অন্য দিকে, মুম্বই পুলিশকে দেওয়া সুশান্তের দুই চিকিৎসকের বয়ান ঘিরে হঠাৎই বাড়ছে চাঞ্চল্য। সুশান্তের চিকিৎসা করতেন, এমন দু’জন ডাক্তার জানিয়েছেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুত ‘বাইপোলার ডিজঅর্ডার’-এ ভুগছিলেন, সঙ্গে ছিল অসম্ভব দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা-সহ একগুচ্ছ মানসিক অসুখ। এ দিন সুশান্তের থেরাপিস্ট সুসান ওয়াকারকে ডিআরডি-ও গেস্ট হাউজে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। আজও সুশান্তের দুই পরিচারক নীরজ এবং কেশবকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, রিয়ার বাবাকে মেয়ে এবং সুশান্তের সম্পর্কের ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এ দিন। কেন সুশান্তের নম্বর ব্লক করে দিয়েছিলেন রিয়া, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল, এ বিষয়ে ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে বিস্তারিত জেরা করেছে সিবিআই। এর আগে মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সুশান্তের দুই ডাক্তারই জানিয়েছিলেন, সুশান্ত নাকি ওষুধ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এক ডাক্তারের বয়ান অনুযায়ী, “সুশান্তের মনে হত তাঁর এই সমস্যার সমাধান কোনও দিনই হবে না। আর সে জন্য সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোয়াতে হবে তাঁর পরিবারকে।”

ওই ডাক্তার জানান, গত বছর নভেম্বরে সুশান্ত তাঁকে বলেছিলেন, আর নাকি বেঁচে থাকার ইচ্ছাই নেই তাঁর। যত বার সুশান্ত তাঁর কাছে এসেছিলেন তত বারই নাকি সঙ্গে থাকতেন রিয়া, জানা যাচ্ছে এমনটাই।

আর এক ডাক্তারের বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, ২০ বছর বয়স থেকে নাকি নানা মানসিক সমস্যার শিকার ছিলেন সুশান্ত। তাঁর কথায়, “সুশান্ত তাঁর রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকলেও নিয়মিত ওষুধ নিচ্ছিলেন না। চার-পাঁচ দিন না ঘুমনো, অনেক পরিমাণ টাকা খরচ, তাড়াতাড়ি কথা বলার প্রবণতা-সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন সুশান্ত।”

অন্য দিকে আজ সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মুম্বই পুলিশের হাতে যখন তদন্তভার ছিল, তখন সুশান্তের পরিবারের বয়ান মরাঠি ভাষায় লেখা হয়েছিল। তাতে সই-ও করতে বলা হয়েছিল তাঁদের। সুশান্তের পরিবার এ ব্যাপারে আপত্তি জানালেও তাঁরা শোনেননি বলেই জানিয়েছেন সুশান্তের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE