সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৄত্যুকাণ্ডে বয়ান রেকর্ড করলেন মহেশ ভাট।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু মামলায় মুম্বইয়ের সান্তা ক্রুজ থানায় হাজিরা দিয়ে বয়ান রেকর্ড করালেন পরিচালক মহেশ ভট্ট। গত ১৪ জুন আত্মহননে নিজেকে শেষ করে দেন সুশান্ত। অনেকের অভিযোগ, যাঁরা অভিনেতাকে দিনের পর দিন অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন, মহেশ ভট্ট তাঁদের অন্যতম। পুলিশি জেরা থেকে তাই রেহাই পেলেন না প্রবীণ পরিচালক। সোমবার থানায় ডাক পড়ে তাঁর। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানে পৌঁছে, মুম্বইয়ের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের সামনে বয়ান রেকর্ড করেন মহেশ। আগামিকাল পুলিশি জেরার মুখোমুখি হতে হবে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন্সের সিইও-কে।
মহেশের আগে সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে ডাক পেয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কারণ, অভিনেতার মৃত্যুর পর তিনিই প্রথম স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খোলেন। তিনিই অভিযোগের আঙুল তোলেন সলমন খান, কর্ণ জোহর, অনুরাগ কাশ্যপ, মহেশ ভট্ট, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী, আদিত্য চোপড়ার মতো বলিউডের রথী মহারথীদের দিকে।
৩ জুলাই মুম্বই পুলিশ কঙ্গনাকে ডেকে পাঠালেও, থানায় যাননি অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির জন্য তিনি মানালি থেকে মুম্বই আসতে পারছেন না। তবে তদন্তে মুম্বই প্রশাসনকে সমস্ত রকম সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন কঙ্গনা।
১৪ জুনের পর থেকেই জোহর, চোপড়া, ভন্সালীর মতোই হিট লিস্টে ভট্ট কোম্পানি। সুশান্তের আত্মহত্যা নিয়ে টুঁ শব্দ না করলেও, জীবিত অবস্থায় মহেশ প্রকাশ্যে সুশান্তকে ‘আর এক পরভিন ববি’ অর্থাৎ ‘অবসাদগ্রস্ত’-এর তকমা দিয়েছিলেন। ভট্ট কোম্পানির দুটো ছবিতে ডাক পেয়েও শেষ পর্যন্ত চান্স পাননি ‘ছিছোর’ অভিনেতা। আলিয়া ভট্টও ‘কফি উইথ কর্ণ’ শো-এ ‘চিনতে পারেননি’ সুশান্তকে। এর জন্য কর্ণের সঙ্গে সমান তালে ট্রোলড হতে হচ্ছে আলিয়াকেও।
আরও পড়ুন: সুশান্তের বিরুদ্ধে #মিটু অভিযোগ নিয়ে কী বললেন স্বস্তিকা?
বলিউডি মহারথীরা ছাড়াও পুলিশি জেরার মুখোমুখি হয়েছেন সুশান্তের রুম মেট সিদ্ধার্থ পিঠানি, পরিচালক সন্দীপ সিং, প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কের আগে রিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহেশ ভট্টের সঙ্গে। মহেশ নাকি বারবার রিয়াকে বারণ করতেন সুশান্তের সঙ্গে মিশতে। রিয়া-মহেশের সেই সময়কার ঘনিষ্ঠ ছবি, টুইট ভট্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে আরও উত্তপ্ত করেছে নেটাগরিকদের।
আরও পড়ুন: করোনামুক্ত ঐশ্বর্যা-আরাধ্যা ফিরলেন ‘জলসা’য়, অমিতাভ-অভিষেক এখনও হাসপাতালেই
মুম্বই পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, আত্মহত্যাতেই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। গলায় ফাঁস লাগানোয় শ্বাসরোধ হয় অভিনেতার। সুশান্তের অনুরাগীদের একটা অংশ এখনও এটাকে খুন বলে মনে করছেন। বড় অংশ মনে করছেন, তাঁর আত্মহত্যার পিছনে যে অবসাদ, তার জন্য দায়ী বলিউডের প্রভাবশালীরাই। সিবিআই তদন্তের দাবিও উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy