নায়িকার চরিত্রের পাশাপাশি আইটেম গার্ল হিসেবে বেশ কিছু জনপ্রিয় গানে সুস্মিতার রূপে-লাস্যে মোহিত হয়েছিলেন বলিপ্রেমীরা। চর্চাও ছিল রীতিমতো। প্রায় তিন দশক পরে তা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী নিজেই। বললেন, নিজের আইটেম গানে কাজ করা নিয়ে তিনি গর্বিত।
নিজের আইটেম গান নিয়ে গর্বিত সুস্মিতা
‘ম্যায় কুড়ি আনজানি হুঁ’। ‘দিলবর দিলবর’। ‘মেহবুব মেরে’। ‘শাকালাকা বেবি’।
গানগুলো মনে পড়ে নিশ্চয়ই? সঙ্গে লাস্যময়ী সুস্মিতা সেনকেও! জানেন কি, সেই গানগুলোয় কাজ করে আজ গর্বিত প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী নিজে?
নব্বই দশকের শেষের দিকে একের পর এক আইটেম গানে দেখা গিয়েছিল সুস্মিতাকে। সে সময়টায় বলিউডের বেশির ভাগ অভিনেত্রীই এই ধরনের চটুল গানের দৃশ্যে কাজ করতে রাজি হতেন না। ফলে হাতেগোনা এক-আধ জনকেই পর্দায় দেখা যেত আইটেম গার্ল হিসেবে।
ব্যতিক্রম অবশ্যই সুস্মিতা। পুরোদস্তুর নায়িকার চরিত্রের পাশাপাশি আইটেম গার্ল হিসেবে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গানে তাঁর রূপে-লাস্যে মোহিত হয়েছিলেন বলিপ্রেমীরা। তা নিয়ে চর্চাও ছিল রীতিমতো। প্রায় তিন দশক পরে তা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী নিজেই। বললেন, “এমন একটা সময়ে আমি পরপর আইটেম গানে কাজ করেছি, যখন অন্য অভিনেতারা ভাবতেন তা তাঁদের ইমেজ বা সম্মানের পক্ষে খারাপ। আমি কিন্তু তার জন্য গর্বিত। অন্যরা যেখানে রাজিই হত না, সেখানে আমি প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে গিয়ে আইটেম গান দেওয়ার আর্জি জানাতাম!”
সুস্মিতাই জানিয়েছেন, নিয়মিত আইটেম গানে কাজ করার খেসারতও দিতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর দুই ম্যানেজার নাকি কাজ ছেড়ে দেন এই কারণেই। দু’জনেরই বক্তব্য ছিল, তাঁরা যেখানে সুস্মিতার জন্য নায়িকার চরিত্র জোগাড় করার চেষ্টা করছেন, সেখানে সুস্মিতাই আইটেম গার্ল হতে রাজি হয়ে তাতে জল ঢালছেন। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর মত ছিল, গান ভাল হলে ছবি না চললেও তার জনপ্রিয়তা থেকে যাবে।
তিনি যে ভুল ছিলেন না, সুস্মিতার করা আইটেম গানগুলির জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy