মনের উপর আগল থাকে না কারও। সেখানে জোর খাটে না রাজনীতির কচকচানির। সেখানে বাধা হতে পারে না দুই দেশের সীমান্ত। আলাপ হয়েছিল পেশার খাতিরে। তার পর নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সুস্মিতা সেন থেকে বিপাশা বসু, রণবীর কপূর, সোনালি বেন্দ্রে— বলিপাড়ার এমন বহু তারকা রয়েছেন, যাঁদের নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটার থেকে অভিনেতাদের সঙ্গে।
সুস্মিতা ও ওয়াসিম :

২০০৮ সালে একটি রিয়্যালিটি শোয়ের সেটে ক্রিকেট তারকা ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে দেখা প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী সুস্মিতা সেনের। সেই সময় সুস্মিতা এবং ওয়াসিম দু’জনেই ওই শোয়ের বিচারকের আসনে ছিলেন। সেখান থেকেই শুরু হয় দু’জনের বন্ধুত্বের। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সুস্মিতার সঙ্গে ওয়াসিমের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়। দু’জনকে একসঙ্গে নানা জায়গায় দেখা যেতে শুরু করে। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, দুই তারকা সম্পর্কে ছিলেন। এমনকি একত্রবাসও করেছেন তাঁরা। যদিও সুস্মিতাকে একে রটনার আখ্যাও দিয়েছিলেন।
রেখা-ইমরান:
পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ইমরান খান সেই সময় অনেক নারী হৃদয়ে হিল্লোল তোলেন। বলিউডের অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী রেখার বাড়িতেও নাকি ইমরানকে যেতে দেখা গিয়েছিল। রেখা এবং ইমরান যে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তা নিয়ে বলিপাড়ার অন্দরমহলে ফিসফাস শুরু হয়। এমনকি ইমরানের সঙ্গে যে রেখা সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন, সেই জল্পনাও ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই তারকার সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা থেমে যায়।

মুনমুন-ইমরান:
ইমরানের ইনসুইং ইয়র্কারের ভক্ত নন, এমন ক্রিকেট অনুরাগী কমই রয়েছেন। মহিলামহলেও তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বড় একটা কম নয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের বহু নায়িকাও। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুনমুন সেন। একসময় ইমরান খানের সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ নিয়ে কম গুঞ্জন হয়নি। সে সময় অনেকেই বলতেন, মুনমুনকে নাকি দারুণ পছন্দ ইমরানের। রিয়া সেন ও রাইমা সেন যখন ছোট তখন তাঁদের সঙ্গে ছবিও রয়েছে ইমরানের। যদিও এ নিয়ে দু’জনে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। ফলে জল্পনা বেড়েছে বই কমেনি! তার পর যখন জেলবন্দি হলেন ইমরান সেই সময় থেকে তাঁকে নিয়ে নীরবতাই বজায় রেখেছেন মুনমুন।

রণবীর-মাহিরা:
২০১৭ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাহরুখ খান অভিনীত ‘রইস’। শাহরুখের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান। একই বছরে মাহিরার একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই নাকি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ‘রইস’ মুক্তির বছরে সমাজমাধ্যমে মাহিরা এবং বলি অভিনেতা রণবীর কপূরের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবিতে লন্ডনের রাস্তায় ধূমপান করতে দেখা যাচ্ছিল দুই তারকাকে। এই ছবিটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে রণবীরের সঙ্গে মাহিরার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। যদিও মাহিরা রণবীরকে কেবলই বন্ধুর তকমা দিয়ে এসেছেন।

বিপাশা-ইমরান:

২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ক্রিচার ৩ডি’। এই ছবিতে বিপাশা বসুর বিপরীতে অভিনয় করেন পাকিস্তানের তারকা ইমরান আব্বাস। বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, ইমরানের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে ছিলেন বিপাশা। শুটিং সেটে শুরু হয় বন্ধুত্ব তার পর সেখান থেকে সম্পর্কের শুরু। যদিও এই প্রসঙ্গে কখনই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি বিপাশা-আব্বাসের কেউই।
সোনালি-শোয়েব:

পাকিস্তানি বোলার শোয়েব আখতারের বরাবরই পছন্দ ছিল অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রেকে। এক সময় শোয়েব বলেছিলেন তাঁর প্রস্তাব সোনালি ফিরিয়ে দিলে অপহরণ করে নিয়ে যাবেন। যদিও সোনালির কখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
সলমন-সোমি:
সলমন খানের সঙ্গে সম্পর্কে আসবেন বলেই পাকিস্তানি অভিনেত্রী অভিনয় জগতে পা রাখেন। বলি অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে নাকি সলমনের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সোমির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে থাকার কারণে অভিনেতার বিয়ে ভেঙে যায়। প্রায় ৮ বছর সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা।
