‘ঘরছাড়া’রা ঘরে ফিরছেন একে একে। তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
এমনই একটি ছবি শুক্রবার বিকেলে দেখা গেল সংগঠনের অফিসে। সেখানে সভাপতির দুই পাশে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় আর পাভেল। এ দিন সাংবাদিকদের ডেকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘরে ফেরা’ থেকে ‘দি একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবির মুক্তি-সমস্যা, সবটাই তুলে ধরেন স্বরূপ। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আন্তরিক আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের ছোট্ট অফিস। এখানে এসে সমস্যা জানান।”
বৈঠকের শুরুতেই সভাপতি এবং উপস্থিত সদস্যরা পরমব্রতের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তাঁদের মতে, সংসারে মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি থাকেই। সে সব ভুলে এগিয়ে চলতে হয়। পরিচালক-অভিনেতা মিটমাটের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আবার আগের মতোই কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে কথা বলেছেন পরমব্রত। এর আগে একাধিকবার ফেডারেশনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসানের কথা জানিয়েছেন পরমব্রত। বৃহস্পতিবার তিনি ভিডিয়োবার্তায় একই কথা বলেন। তাঁর কথায়, “আইনি পথে না হেঁটে মুখোমুখি কথা বললে অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। আমি সেটা উপলব্ধি করলাম।” সেই জায়গা থেকেই তাঁর বার্তা, কাজ করতে গিয়ে মতবিরোধের সম্ভাবনা তৈরি হলে আগামী দিনে সেই বিরোধ মেটাতে তিনি আইন নয়, আলোচনার রাস্তায় হাঁটবেন।
এ দিন বৈঠকে ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ স্বাগত জানান পরমব্রতকে। অভিনেতা-পরিচালককে সামনে রেখে তাঁর বার্তা, “আমাদের সংগঠনের একটি ছোট্ট অফিস আছে। দরকারে-অদরকারে সেখানে আসুন। সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন। আমরা সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত।”
একবারের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তার ছায়া পড়েছে ব্যস্ত টলিউডে। সেই পর্ব মিটলেও আগামী দিন নিয়ে শঙ্কা কি থিতিয়েই রইল? এই প্রশ্নের জবাবে পরমব্রত বলেন, “আশঙ্কার প্রশ্ন নেই। টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে প্রত্যেকে আমার অনেক বছরের চেনা। আমরা সবাই একটি পরিবার। সেই পরিবারের ভাল-মন্দ আগামিদিনে পরিবারের সদস্যরা মিলেই মেটাব।”
বৈঠক প্রসঙ্গে এ দিন কথা বলেন রাহুল এবং পাভেলও। উভয়েই সমর্থন করছেন স্বরূপের সব বক্তব্য। রাহুল যেমন বলেছেন, “ফেডারেশন জুজু নয়। দিশা দেখানোর কাণ্ডারি। তাই অন্যের বুদ্ধিতে নয়, সংগঠনের দেখানো পথে চললে সমাধান দ্রুত হবে।”
পাভেল বৈঠকে স্বাধীন পরিচালকদের ‘মুখ’। তিনি বলেন, “স্বাধীন পরিচালকদের সঙ্গে ফেডারেশনের কোনও বিরোধ নেই। বরং শুরু থেকে সহযোগিতা করলে ফেডারেশন সঠিক রাস্তা বাতলাতে পারবে।”
এই প্রসঙ্গে স্বরূপ উদাহরণ দিয়েছেন জয়ব্রত দাসের ‘দি একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবির। তাঁর আফসোস, “ওঁকে ভুল পথ দেখানো হয়েছিল বলেই এত সমস্যা!” তার পরেও সবাই মিলে পাশে দাঁড়ানোয় ইতিবাচক পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়েছে। মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এটাই ফেডারেশনের সার্থকতা, মত স্বরূপের।