তাপসী পন্নু। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে শিবির বিভাজন, স্বজনপোষণ ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে এর আগে মুখ খুলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ফাঁস করেছিলেন কিছু অন্ধকার দিকের কথা। যে কারণে কিছুটা খারাপ লাগা নিয়েই বলিউড ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন হলিউডে। সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রির নেতিবাচকতা নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। আগেও অবশ্য কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন তিনি।
অভিনয় জগতে দশ বছর পূর্ণ হয়েছে তাপসীর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বলিউডে দলবাজি তো চিরকালই রয়েছে। সবাই জানে।” যদিও এই পক্ষপাতিত্বের জন্য দোষও দিতে চান না কাউকে। তবে সমস্যায় পড়তে পারেন নবাগতরা। নবীন শিল্পীরা যেন সব জেনেবুঝেই আসেন, আর্জি তাপসীর।
অভিনেত্রী বললেন, “কে কার সঙ্গে কাজ করবে, কাকে ছবিতে নেবে— সেটা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তো সবারই রয়েছে। কারও কেরিয়ার নিয়ে তাঁকে দোষারোপ করতে পারি না আমি।”
তবে যাঁরা তারকাসন্তান নন, তাঁদের যে টিকে থাকতে অনেক লড়াই করতে হয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তাপসী।
‘হাসিন দিলরুবা’ (২০২১) ছবির অভিনেত্রী বলেন, “আমি এটা জেনেই এসেছিলাম যে, ইন্ডাস্ট্রির সব কিছু ভাল নয়। এখানে যে পক্ষপাতিত্ব বা স্বজনপোষণ রয়েছে, সে তো জানাই ছিল। আমি খারাপ কিছুর জন্যই প্রস্তুত ছিলাম আগে থেকে। পরে অভিযোগ করব, এমন নয়।”
তাপসীর দাবি, সব সময় পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকবে— এটা জেনেই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখা ভাল। পরে জটিলতায় পড়ে কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। তাপসীর বক্তব্য, খেলার দুনিয়া ছাড়া স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব তো সব জায়গাতেই অল্পবিস্তর রয়েছে।
অভিনেত্রীর পরামর্শ, “ইন্ডাস্ট্রির অংশ হতে গেলে প্রথমে দরজায় একটা পা রাখতে হবে। সেটা করতে পারলে লড়াই করে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে হবে। একটা ছবি সফল হলেই দশ বছরের জন্য হিল্লে হয়ে গেল, এমন নয় ব্যাপারটা।”
শীঘ্রই ‘হাসিন দিলরুবা’ ছবির দ্বিতীয় পর্বে দেখা যাবে তাপসীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy