২০১৮-য় সমাজমাধ্যম উত্তাল হয়েছিল ‘মিটু’ আন্দোলন নিয়ে। অভিনেতা নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল নানা পটেকরের বিরুদ্ধে। কিন্তু যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে সেই মামলাটি বন্ধ করা হয়। তার পর মাঝে কয়েকটা বছর বিদেশে ছিলেন। এখন যদিও দেশে ফিরে এসেছেন। তাও বছর দুয়েক হল। যদিও দেশে ফিরে জানান আধ্যাত্মিকতায় পথেই হাঁটছেন তিনি। এ বার সমাজমাধ্যমে পাতায় একটি ভিডিয়ো দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তনুশ্রী। জানান, হেনস্থার শিকার তিনি।
তনুশ্রী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আমাকে নিজের বাড়িতেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সেই ২০১৮ সাল থেকে চলছে। আর পারছি না। আমি পুলিশকে ফোন করেছি। তাঁরা এসে বললেন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে। হয়তো কাল যাব থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিতে। গত পাঁচ বছর ধরে হেনস্থার শিকার আমি। আমার শরীর খুব খারাপ। বাড়িতে কোনও সাহায্যের লোক নেই। একাই সব কাজ করি। কেউ আমাকে সাহায্য করুন।’’ কাতর অনুরোধ তনুশ্রীর। সমাজমাধ্যমে অনেকেই তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও বাড়ির মধ্যে কে বা কারা তাঁকে হেনস্থা করছে সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
সমস্যার সূত্রপাত, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ়’ ছবি মুক্তির সময় থেকে। এই ছবিতে একটি গানের দৃশ্যে তনুশ্রীর একা অভিনয় করার কথা ছিল। চিত্রনাট্যে এমনই ছিল বলে জানান অভিনেত্রী। কিন্তু পরে সেই দৃশ্যে নিয়ে আসা হয় নানা পটেকরকেও। এই গানের শুটিং-এর সময়ই নাকি অভিনেতা নানা, অভিনেত্রী তনুশ্রীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। নাচ শেখানোর নামে নাকি শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন নানা। পরবর্তীকালে অভিনেতা সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনাটি প্রসঙ্গে বলেন, “আমি জানতাম এই অভিযোগ মিথ্যা। তাই আমি মাথা গরম করিনি। আর এ অনেক পুরনো কথা। আর এগুলি নিয়ে কথা বলারও প্রয়োজন নেই।’’