Advertisement
০৯ মে ২০২৪
Srijit Mukherji

Taslima-Srijit: ‘রে’ সিরিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তসলিমা, দাবি, নিজেকে নিজেই ছাপিয়ে গিয়েছেন সৃজিত

একমাত্র তুখোড় শিল্পী-ই সত্যজিতের এমন আধুনিকীকরণ করতে পারেন: তসলিমা

সৃজিত-তসলিমা

সৃজিত-তসলিমা

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ১৬:২০
Share: Save:

‘রে’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে বিশিষ্টদের মতামত জারি। প্রশংসার পাল্লা ক্রমশ ভারী হচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি তাঁকে প্রাণখোলা শুভেচ্ছা জানালেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর সাম্প্রতিক পোস্টে লেখিকা স্বীকার করেছেন, 'আঁতেলদের' নিন্দে শুনেই সিরিজ দেখার ইচ্ছে জাগে তাঁর।

তার পর? চারটি ছোট গল্পে সমৃদ্ধ ‘রে’ দেখার পর মনে হয়েছে, তুখোড় শিল্পীর সমন্বয়েই সত্যজিৎ রায়ের এমন আধুনিকীকরণ সম্ভব হয়েছে।

প্রশংসার আগে ছোট্ট মুখবন্ধ লেখিকার। তাঁর কথায়, ‘সত্যজিৎ রায়ের গল্পের ওপর ভিত্তি করে চারটে ছোট ছোট ছবি দেখাচ্ছে নেটফ্লিক্স, শুনেছি। কিন্তু সত্যি বলতে কী, দেখার তেমন ইচ্ছে ছিল না। কারণ, দেখলে ভালো লাগবে এমন বিশ্বাস ছিল না’। মন দিয়ে দেখার পর নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তসলিমা। তাঁর দাবি, কয়েক দশক পুরোনো গল্পের এমন অবিশ্বাস্য আধুনিকীকরণ করতে সাহস তো দরকার-ই। কল্পনাশক্তি আর শিল্পবোধও প্রচণ্ড দরকার। ছক ভাঙা সোজা ব্যাপার নয়।

অথচ এই ছক ভাঙা নিয়েই সমালোচক মহল থেকে সাধারণের নানা মত। সত্যজিৎ রায়ের গল্প কেন সৃজিতের হাতে তুলে দেওয়া হল, এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাংলা ছবির দর্শকদের মধ্যে। তার প্রমাণ নেটমাধ্যমে। কেউ দীর্ঘ লেখা লিখে তাঁর দুটো ছবিরই সমালোচনা করছেন। কেউ মিমে খোদ সত্যজিৎ রায়কে হাজির করে তাঁর মুখে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তসলিমা বিপরীত হাওয়ার পন্থী। তিনি মনে করেন, সত্যজিৎ রায়কে বয়স্ক 'আঁতেলদের' বুকপকেট থেকে বের করে এনে পুরো ভারতবর্ষের, এমনকি পুরো বিশ্বের নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিলেন পরিচালকেরা। অভিষেক চৌবে চমৎকার। ভাসান বালাও ভাল। ‘আর আমাদের সৃজিত মুখোপাধ্যায় যত ছবি বানিয়েছেন, মনে তো হচ্ছে তাঁর এ দুটো সবার সেরা’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE