মিমি চক্রবর্তী
অজান্তে জাল প্রতিষেধক নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। এখন আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল আছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। বুধবার ইনস্টাগ্রামে নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। এক গোছা চনমনে লিলি ফুলের ছবি তিনি ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। এই ফুলই যেন মিমি-র প্রতীক। সেই ছবি ঘিরে মুখবন্ধে মিমির অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আপনারা যদি জানতে চান, দিনগুলো কতটা খারাপ কেটেছিল? বলব, এই ঘটনায় শারীরিক ও মানসিক ভাবে যন্ত্রণার শিকার আমি।’
মিমি-র অসুস্থতার খবর ছড়াতেই থমকে যান অনুরাগীরা। দুশ্চিন্তায় পড়ে রাজনৈতিক মহল, বিনোদন দুনিয়া। চার দিন ধরে অঘটনের ধাক্কা সামলে নেওয়ার পরেই তাই নেটমাধ্যমে নিজের সুস্থতার কথা জানান তিনি। লেখেন, ‘আমার জন্য ভেবেছেন, আমার জন্য সবাই অনবরত প্রার্থনা করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ সবার কাছে।’ মিমির দাবি, সবার ভালবাসা, প্রার্থনাতেই তিনি সুস্থ। চিকিৎসকের ওষুধে আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল আছেন। শরীরে-মনে শক্তি ফিরে পেয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাঁর গলব্লাডারের সমস্যাও কমে যাবে।
২৩ জুন মিমি কসবা থানার অন্তর্গত রাজডাঙায় একটি ভুয়ো শিবির থেকে অতিমারির প্রতিষেধক নেন। প্রতিষেধক নেওয়ার পর খেয়াল করেন, তাঁর মুঠোফোনে প্রতিষেধক প্রাপ্তি সংক্রান্ত কোনও তথ্য আসেনি। সাংসদের তৎপরতায় জানা যায়, পুর যুগ্ম কমিশনারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে দেবাঞ্জন দেব নামে জনৈক ব্যক্তি প্রতিষেধকের এই জাল শিবির চালাচ্ছেন। মিমি-র লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কসবা থানা গ্রেফতার করে দেবাঞ্জনকে। এ দিকে অজান্তে জাল প্রতিষেধক নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংসদ-তারকা। প্রতিষেধক নেওয়ার তিন দিন পরে শরীরে আচমকাই জলশূন্যতার সৃষ্টি হয়। রক্তচাপ নেমে যাওয়ার পাশাপাশি পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়তে থাকেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এর পরেই তিনি মুঠোফোন, নেটমাধ্যম থেকে দূরে। টানা ক’দিন বিশ্রামে ছিলেন অভিনেত্রী।
মিমি-র সুস্থতার খবর নেটমাধ্যমে ছড়াতেই খুশি তাঁর অনুরাগীরা। সবাই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে। নিজের যত্ন নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি ভরসাও জুগিয়েছেন নেটাগরিকেরা, ‘তুমি ভেঙে পড়ো না। মনের জোরে শক্ত থাকো। আমরা তোমার পাশে আছি।'
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy