ক’দিন পরেই খুশির ইদ। এখনও ইদের পরিকল্পনা করে উঠতে পারেননি। কয়েকটি ছবির শুটিং ও ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত রিজ়ওয়ান রব্বানি শেখ। তবে ব্যস্ততার প্রভাব পড়ছে না রোজা পালনে। রোজ নিয়ম করে রাত জাগছেন, শেহরি করেছেন, নমাজ পড়ছেন। সময় মতো ইফতার করছেন।
সারা বছর কড়া ডায়েটের মধ্যে থাকেন রিজ়ওয়ান। রমজানের সময়ও ডায়েটের কথা মাথায় রাখছেন তিনি। নিজে হাতেই বানিয়ে নিচ্ছেন ওট্স দিয়ে তৈরি নানা রকমের খাবার। তবে ইফতারের সময় প্রতি দিনই থাকছে সুস্বাদু ডেজ়ার্ট। সব মিলিয়ে কেমন কাটছে রমজ়ান মাস, আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন রিজ়ওয়ান। অভিনেতার কথায়, “রমজান প্রায় শেষ হতে চলেছে। রোজার আর কয়েকটা দিনই বাকি। গত বছর ধারাবাহিকের শুটিং চলাকালীনও রোজা রাখতাম। তখন নমাজ পড়ার সময়টা এ দিক-ও দিক হত। তবে এ বার ধারাবাহিকের শুটিং নেই। তাই হাতে সময় আছে। ঠিক সময়ে নমাজ পড়ছি। কিছু ধর্মীয় বই পড়ছি রোজ। প্রতি রাত জাগছি। শেহরি করে ভোর পাঁচটায় ঘুমোতে যাচ্ছি।”
বাড়ির ছাদেই নিজের মতো করে একটা বাগান তৈরি করেছেন রিজ়ওয়ান। নিজের পছন্দের বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছেন সেখানে। সেই বাগানের ফল দিয়ে প্রতি দিন রিজ়ওয়ানের মা তৈরি করছেন নানা রকমের ‘ডেজ়ার্ট’। অভিনেতা বলেছেন, “ইফতারে ফলাহার তো হয় বটেই। তার সঙ্গে বাগানের গাছের ফল দিয়েও খাবার তৈরি হচ্ছে। যেমন আমাদের বাগানে স্ট্রবেরি গাছ রয়েছে। মা স্ট্রবেরির রাবড়ি বানিয়েছিল একদিন।” এ ছাড়া প্রায়ই রমজানের খাবারের তালিকায় থাকে শাহি টুকরা, ছাতুর পরোটা। সন্ধেয় ইফতারে মিষ্টির সঙ্গে নানা রকমের মুখরোচক পদের আয়োজনও থাকছে। বিট, গাজর, ছোলা, ভুট্টা দিয়ে তৈরি একটি চাট অভিনেতার বিশেষ পছন্দ।
নিজেও পিছিয়ে নেই রিজ়ওয়ান। অভিনেতা বলেছেন, “শেহরিতে মানে ভোররাতে যেমন আমি নিজেই ওট্স আর ড্রাইফ্রুট দিয়ে একটা খাবার বানিয়ে নিই। কখনও আবার ওট্সের সঙ্গে টোফু বা অন্য সব্জি দিয়ে তৈরি করছি খাবারটা। এটা আমি রোজই খাই, কারণ খুবই স্বাস্থ্যকর। হজম করতেও অসুবিধা হয় না। তৈরি করাও সহজ।” এই সময়ে তেলে ভাজা খাবার সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে চলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ইদের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রিজ়ওয়ান বলেন, “আসলে ভাই চাকরির জন্য এখন অন্য শহরে। তাই তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। শহরে থাকব না কি অন্য কোথাও যাব, কিছুই ঠিক হয়নি।” রমজানে নিয়মিত একটি প্রার্থনা করছেন রিজ়ওয়ান। অভিনেতা বলেন, “আমি বারো মাসই এই প্রার্থনা করি। রোজার সময়ও চাইছি, আমার চারপাশের মানুষেরা যেন সুস্থ থাকেন, শান্তিতে থাকেন। গাড়ি-বাড়ি হওয়ার চেয়েও মানসিক শান্তি বেশি জরুরি।”
রমজ়ানের প্রতি দিন আরও একটি প্রার্থনা করছেন অভিনেতা। “হিংসা বা ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ হোক, এই প্রার্থনা করি। হাজার রকমের কারণ থাকে ঘৃণা ছড়ানোর। আবার এই ঘৃণা ও নেতিবাচকতা এড়িয়ে যাওয়ারও হাজার রকমের দিক রয়েছে।”