একজোট হয়েছেন টলিউডের শিল্পীরা।
অন্যান্য শিল্পী, কর্মীদের মতোই মন্দার মুখ দেখছেন বাংলার বহু স্বর্ণশিল্পী। গত চার মাসে তাঁরা বিপন্ন। করোনা কাজ কেড়েছে, অন্ন কেড়েছে তাঁদের। ক্রেতার অভাবে বিক্রি নেই সোনার গয়নার, যা নাকি নারীর অহঙ্কার! লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বহু শিল্পী।
এই স্বর্ণশিল্পীদের বাঁচাতে এককাট্টা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, ঐন্দ্রিলা সেন, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী থেকে পার্নো মিত্র সহ বাংলার প্রথম সারির সমস্ত শিল্পী।
কী করছেন এঁরা বাংলার স্বর্ণশিল্পীদের জন্য?
কাজটি মূলত করছে এআইজিএ বা অল ইন্ডিয়া গোল্ডস্মিথ অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থার জন্ম কোভিডে কর্মহারা দুঃস্থ স্বর্ণশিল্পীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। সংগঠনটি তৈরি হয়েছে এসএসআরএমের নেতৃত্বে। ২৫টি শহরের ৫০টি স্বর্ণশিল্প প্রতিষ্ঠান আজ এই সংস্থার মাধ্যমে এক ছাতার নীচে।
সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে সেই সমস্ত শিল্পীদের, যাঁরা আটকে রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের নানা শহরে। এবং যাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ।
কীভাবে সংস্থাকে পাশে পেয়েছেন শিল্পীরা? তাঁদের তোলা ভিডিওর একটি কোলাজ বলছে, ২৫ লক্ষ স্বর্ণ কারিগর লকডাউনে আটকে পড়ায় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে সর্ভারতীয় স্তরে 'করোনা রিলিফ কারিগর' নামে একটি গ্রুপ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ত্রাণ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে কারিগরদের কাছে। বাড়ি ফেরানোর জন্য শতাধিক বাস, ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে এআইজিএ।
বাংলার শিল্পীদের জন্য এমন মহৎ কাজের প্রচারে তাই দেখা মিলেছে বাংলার এক ঝাঁক শিল্পীদের।
স্বর্ণশিল্পী আর শিল্পের কথায় নুসরত জানিয়েছেন, অলঙ্কার তাঁর কাছে শক্তি, আত্মবিশ্বাস, বড়দের আশীর্বাদ। ঋতুপর্ণার মতে, গয়না সব বয়সের সব নারীর কাছেই আকর্ষণীয়। তাই ঋতাভরীর অনুরোধ, এভাবে সবার পাশে সবাই থাকলে আগামী দিনে দুর্দিন হার মানতে বাধ্য হবে। আর জে মীর, সাহেব, মিমি সবাইকে অনুরোধ জানান, এই উদ্যোগ এবং স্বর্ণশিল্পীদের পাশে থাকার জন্য, যাতে পার্নো, দর্শনা বণিক, ঐন্দ্রিলা বা নুসরতের মতো তারকাদের পাশাপাশি আবার উৎসবে, আনন্দে মনের মতো করে সেজে উঠতে পারে নারী।
আর বাঙালির তো বারো মাসে বারোশো উৎসব....
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy