কাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ইন্দ্রাশিসের? ছবি: সংগৃহীত।
করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত শব্দবন্ধ ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ‘টিকিট কেটে ছবি দেখুন’ গোছের অনুরোধও ইদানীং তারকাদের মুখের বুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলা ছবি কি ক্রমশ তার গুরুত্ব হারাচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
কিন্তু বাংলা ছবির ‘দুরবস্থা’ মেনে নিতে নারাজ পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য। এই মর্মে তিনি বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন। ইন্দ্রাশিস লিখছেন, ‘‘বেশির ভাগ মানুষ যারা বাংলা সিনেমার ভাল চান বলেন, তাঁরা সবচেয়ে বেশি ভয়ে ভয়ে থাকেন, কোনও ভাল সিনেমা না হয়ে যায়।’’ এরই সঙ্গে তাঁর মত, ‘‘আর যখন বুঝতে পারেন কোনও সিনেমা যথেষ্ট ভাল হতে চলেছে বা হয়ে যেতে পারে (সেটা বোঝার ক্ষমতা আছে কি না সন্দেহজনক) সেটাকেও ভাগাড়ে পাঠানোর চেষ্টা করে গড্ডালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে।’’
পরিচালকের নিশানায় কি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষ রয়েছে? আনন্দবাজার অনলাইনকে ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘‘কাউকে উদ্দেশ্য করে আমি এই পোস্ট করিনি। এখন দেখি এক দল মানুষ ক্রমাগত বলতে থাকেন এখানে নাকি কিছুই ভাল কাজ হচ্ছে না। আমার পোস্ট তাঁদের উদ্দেশে।’’ ইন্দ্রাশিস তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘এদের সাধ্য আর সাধের বিস্তর ফারাক, যদিও খুব কিছু এসে যাচ্ছে না। ভাল কাজ সব সময় কম হয়, কিন্তু হয়। তাদের মতামতের থোড়াই কেয়ার করে।’’
ইন্দ্রাশিস মনে করেন, বাংলায় ভাল ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেই সব মানুষ প্রচারের আলোয় আসতে পারছেন না। যা পরিচালকের কথায়, ‘দুর্ভাগ্যজনক’। এই প্রসঙ্গে নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করালেন ‘পার্সেল’ ছবির পরিচালক। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও গডফাদার ছাড়াই আমি ৫টা ছবি তৈরি করেছি। সে দিক থেকে আমি ভাগ্যবান।’’
সম্প্রতি কেরল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সহ বিদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছিল ইন্দ্রাশিসের ছবি ‘নীহারিকা’। পরিচালকের পাল্টা যুক্তি, ‘‘বাংলা যদি ভাল ছবি না তৈরি হয়, তা হলে কি এই উৎসব কর্তারা ভুল ছবি নির্বাচন করলেন?’’ সম্প্রতি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে ‘গুডবাই মাউন্টেন’ ছবিটির শুটিং শেষ করেছেন ইন্দ্রাশিস। ছবির সম্পাদনার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy