বলিউডের ‘খিলা়ড়ি কুমার’ অক্ষয়কে সকলেই চেনেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে। গত কয়েক বছরে একের পর এক সরকারি প্রচারমূলক ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন বলে সমালোচনার সম্মুখীনও হয়েছেন। এমনকি বক্স অফিসে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া ‘টয়লেট: এক প্রেমকথা’ এবং ‘মিশন মঙ্গল’-এর মতো ছবির গায়েও লেগেছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নির্মাণের অভিযোগ।
কিন্তু এরই বিপরীতে অক্ষয়ের স্ত্রী টুইঙ্কল খন্না। অভিনয় ছেড়ে তিনি এখন ব্যস্ত লেখালিখি নিয়ে। তাঁর শানিত ব্যঙ্গে মোহিত অনুরাগীরা। টুইঙ্কলকে অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা করতে। সরকারি নানা কাজের সমালোচনাও করেছেন টুইঙ্কল নিজের মতো করে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ অবলম্বনে ছবি নির্মাণ নিয়েও রয়েছে তাঁর বক্তব্য। এমনকি সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি জানিয়েছেন, এ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে স্বামী অক্ষয়ের সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়ে গিয়েছে একচোট।
টুইঙ্কল জানিয়েছেন, উত্তম মাহেশ্বরী যে দিন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ছবি করবেন বলে ঘোষণা করলেন, তার পর দিনই স্বামীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন টুইঙ্কল। কারণ একের পর এক টুইটে তিনি দেখেন অক্ষয় নাকি এই ছবিতে অভিনয় নিয়ে লড়াই করছেন ভিকি কৌশলের সঙ্গে। অভিনেত্রী বলেন, “আমি কী করে বুঝব কোনটা সত্যি, কোনটা নয়! একগাদা টুইট দেখে আমি অক্ষয়কে বলি, ‘আমি পড়লাম তুমি নাকি ভিকি কৌশলের সঙ্গে ছবি নিয়ে ঝগড়া করছ!’ অক্ষয় চিৎকার করে ওঠে, বলে, ‘আরে ভুয়ো খবর, তুমি রাখো তো, আমার পা পুড়ে যাচ্ছে। পরে ফোন করছি’।”
টুইঙ্কল জানিয়েছেন, অক্ষয় বাড়ি ফেরার পর দেখেন সত্যিই তাঁর পায়ের একটা অংশে ক্ষত রয়েছে। অর্থাৎ, সত্যিই স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি কোনও সমস্যায় ছিলেন। ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে তিনি স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, “আজকাল কোন খবরটা সত্যি, তা বোঝাই কঠিন হয়ে গিয়েছে। আমার তো সব কিছুতেই সন্দেহ হয়।”
সপ্তাহ কয়েক আগে যখন ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছিল দেশ, ঠিক তখনই একটি পোস্টার প্রকাশ করেন উত্তম। সেখানে স্পষ্ট লেখা ‘অপরেশন সিঁদুর’ এবং দেখা যায় কৃত্রিম মেধা নির্মিত এক মহিলা সেনা পোশাক পরে কপালে সিঁদুর ছোঁয়াচ্ছেন। পরে উত্তম ক্ষমা চেয়ে দাবি করেন, সত্যিই তিনি এই ছবিটি পরিচালনা করতে চান। তবে এই পরিস্থিতিতে তিনি খ্যাতি বা অর্থের জন্য এমনটা করছেন, তা নয়।