Advertisement
E-Paper

১০০ কোটির মানহানি মামলার হুমকি! ভিকির ‘ছাওয়া’তে ভুল ব্যাখ্যা, ক্ষমা চাইলেন পরিচালক

ভিকি কৌশল অভিনীত ‘ছাওয়া’ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মরাঠা যোদ্ধাদের বংশধরেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:২১
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা পেয়েও বিতর্কে ভিকির ‘ছাওয়া’।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা পেয়েও বিতর্কে ভিকির ‘ছাওয়া’। ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে ভিকি কৌশল-রশ্মিকা মন্দানা অভিনীত ‘ছাওয়া’। শিবাজি সাওয়ান্তের লেখা মরাঠি উপন্যাস ‘ছাওয়া’ অবলম্বনে তৈরি এই ছবির উপজীব্য ছত্রপতি শিবাজির জ্যেষ্ঠ পুত্র সম্ভাজির জীবনকাহিনি। খলনায়ক হিসাবে দেখানো হয়েছে বৃদ্ধ মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে। গত কয়েক দিনে ভাল ব্যবসা করেছে লক্ষ্মণ উতেকর পরিচালিত এই ছবি। এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন গণোজি ও কনহোজি শির্কের বংশধরেরা। ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। দাবি, তাঁদের পূর্বপুরুষদের চিত্রায়ণ নাকি যথাযথ তুলে ধরা হয়নি ছবিতে।

ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের বিশ্বস্ত মিত্র ছিলেন গণোজি এবং কানহোজি। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্ভাজির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন সম্ভাজির এই দুই মিত্র। এর ফলে মরাঠা শাসকের মৃত্যু হয়। এ হেন চিত্রায়ণে আপত্তি জানিয়েছেন তাঁদের বংশধরেরা। এমন চিত্রায়ণ তাঁদের ভাল লাগেনি। পাশাপাশি তাঁদের বিশ্বাস, ছবিতে তাঁদের পূর্বপুরুষদের যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা তাঁদের উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করছে।

ছবিটি মুক্তির পর গণোজি এবং কানহোজি শির্কের ১৩তম বংশধর লক্ষ্মীকান্ত রাজে শির্ক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা।’’ হতাশা প্রকাশ করে তিনি জানান, এই চিত্রায়ণ তাঁর পরিবারের ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই পরিচালককে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। লক্ষ্মীকান্ত তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকিও দিয়েছেন।

পরিচালক লক্ষ্মণ উতেকর ব্যক্তিগত ভাবে এই যোদ্ধাদের বংশধর ভূষণ শির্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এমন অনিচ্ছাকৃত আঘাতের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি তাঁদের স্পষ্ট জানান, ছবিতে গণোজি এবং কানহোজির শেষ নাম বা গ্রামের নাম স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়নি। লক্ষ্মণ উতেকরের কথায়, ‘‘আমরা ‘ছাওয়া’ ছবিতে কেবল গণোজি এবং কানহোজির নাম উল্লেখ করেছি, তাঁদের পদবি ব্যবহার করিনি। আমরা নিশ্চিত করেছিলাম তাঁরা কোন গ্রামের বাসিন্দা তা-ও প্রকাশ করা হবে না। আমাদের শির্কে পরিবারের ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না। এই ছবির কারণে যদি কারও অস্বস্তি বোধ হয়ে থাকে তবে আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইছি।’’

Vicky Kaushal Chhaava Bollywood Movie Bollywood Controversy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy