প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে প্রথম নজর কেড়েছিলেন। তার পরেই রাতারাতি জনপ্রিয়তা। মডেলিং ও অভিনয়েও হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছিল। এ বার আরও এক বড় পদক্ষেপ মালাবিক্রেতা মণি ভোসলে ওরফে ‘মোনালিসা’র।
ষোড়শীর আসল নাম মণি। চলতি বছর মহাকুম্ভে মণিকে দেখেই নেটাগরিক নাম দিয়েছিলেন ‘মোনালিসা’। তার পর থেকে এই নামেই পরিচিত তিনি। মোনালিসা আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই বিতর্কিত পরিচালক সনোজ মিশ্রের ছবি ‘দ্য ডায়েরি অফ মণিপুর’-এ কাজ করেছেন মহাকুম্ভের মালাপসারিনী। এ বার মালয়ালম ছবিতে পা রাখতে চলেছেন মোনালিসা। নিজেই সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি। একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই ছবির নাম ‘নাগাম্মা’। তাঁর বিপরীতে রয়েছে মালয়ালি অভিনেতা কৈলাস। চলতি বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নাকি শুরু হবে ছবির শুটিং।
ছবির সূচনার আগে একটি পুজোও হয়। কোচিতে এই পুজোর আয়োজন হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
মহাকুম্ভের জন্য রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মণি ‘মোনালিসা’ ভোসলে। শ্যামলা গায়ের রং, বাদামি চোখের মণি, উজ্জ্বল হাসি— তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়েছিল নেটপাড়া। ষোড়শীর সুন্দরী চোখ এড়াননি পরিচালকদেরও। ইতিমধ্যেই তিনি নাকি ডাক পেয়েছেন বলিউড থেকেও। এমনকি, কঙ্গনা রনৌতও মোনালিসার রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
মোনালিসার একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, “নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নেটপাড়ার আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন মোনালিসা। ওঁর ছবি তোলার জন্য মানুষ যে ভাবে ওঁকে হেনস্থা করছে, তা মোটেই সমর্থন করছি না। কিন্তু একটা প্রশ্ন করতেই হবে, রুপোলি দুনিয়ায় কি আর ভারতীয় শ্যামলা সুন্দরীদের প্রতিনিধিত্ব কেউ করে? এক সময়ে অনু অগ্রবাল, কাজল, বিপাশা বসু ও রানি মুখোপাধ্যায়, এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনকে মানুষ যেমন ভালবাসা দিয়েছে, তেমন কি এই প্রজন্মে হচ্ছে?”