কমল হাসন, অপর্ণা সেন। কোনও দিন তাঁরা পর্দাভাগ করেননি। একে অন্যের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন? না, সেটাও নয়। তা হলে কমল বাংলা শিখেছিলেন কেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্য ফাঁস করেছেন অভিনেতার মেয়ে শ্রুতি হাসন। কমল-কন্যার দাবি, তাঁর বাবা নাকি জাতীয় স্তরের পরিচালক-অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন। তাঁর মনোযোগ কাড়তেই নাকি বাংলা শিখেছিলেন! শ্রুতি যা বলেছেন, তেমন কিছুই কি ঘটেছিল? আনন্দবাজার ডট কম প্রশ্ন করেছিল অপর্ণা সেনকে। তিনি জানিয়েছেন, কমল সম্ভবত রসিকতা করেছিলেন। তিনি এই ধরনের মানুষ নন।
স্বাধীনতা দিবসের আগে মুক্তি পেয়েছে শ্রুতির নতুন ছবি ‘কুলি’। তারই একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আর ছবির সহ-অভিনেতা সত্যরাজ নিজেদের নানা কথা ভাগ করে নিচ্ছিলেন। কথায় কথায়, মাতৃভাষা ছাড়াও অভিনেতাদের অন্য ভাষা জানার প্রসঙ্গ ওঠে। সত্যরাজ প্রশংসার সুরে জানান, বাবা কমল হাসনের মতো শ্রুতিও একাধিক ভাষা জানেন। তারই উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেত্রীর দাবি, “অপর্ণা সেনকে বাবা শ্রদ্ধা করেন, পছন্দও করেন তাঁকে। শুনেছি, সেই আগ্রহেই নাকি বাংলা ভাষা শিখেছিলেন।” কমল-কন্যার মতে, তাঁর বাবা মাত্র একটি বাংলা ছবি করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কবিতা’। ভরত শামসের পরিচালিত ছবিটি তামিল ছবি ‘অভাল অরু থোডার কথাই’-এর বাংলা সংস্করণ।
আরও পড়ুন:
বেশির ভাগ মানুষ জানেন, এই ছবির জন্যই কমল বাংলা শিখেছিলেন। কিন্তু এই কারণ আংশিক! এখানেই শেষ নয়। শ্রুতির আরও বক্তব্য, “বাবা শুধুই বাংলা শিখে থেমে যাননি। তাঁর ছবি ‘হে রাম’-এ নায়িকা রানি মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রের নাম ‘অপর্ণা রাম’!”
সাক্ষাৎকারে শ্রুতি যা বলেছেন বাস্তবে কি সেরকমই কিছু ঘটেছিল? অপর্ণা কিন্তু বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “কমল অত্যন্ত গম্ভীর প্রকৃতির। এই ধরনের মানসিকতার মানুষ তিনি নন। হয়তো কখনও রসিকতা করে কিছু বলে থাকতেও পারেন। এর বেশি কিছু আমি অন্তত মনে করছি না।” অপর্ণা আরও জানান, এই ধরনের বিষয়ের প্রতি একেবারেই আগ্রহী নন তিনি। তাই এর বেশি আর কিছুই বলার নেই তাঁর।