রাত পোহালেই গণেশচতুর্থী। মূলত, মহারাষ্ট্রে এই পুজোর চল। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাতেও সিদ্ধিদাতা পূজিত হচ্ছেন। সাধারণ থেকে তারকা, নিষ্ঠার সঙ্গে আরাধনা করছেন দেবতার। সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের কথাই ধরুন। তিনি কোলে করে ছোট্ট গণেশমূর্তি আনছেন, মঙ্গলবার এমন একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। অভিনেত্রীর চোখেমুখে হাসির ঝিলিক।
কিন্তু অভিনেত্রীর ভাল ‘বন্ধু’ পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় কই? দেবমূর্তি কেনার সময় তিনি কি সঙ্গে ছিলেন? আনন্দবাজার ডট কম-এর প্রশ্ন শুনে একটুও বিরক্ত নন অভিনেত্রী। আন্তরিকতার সঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়েছেন, “না, সৃজিত আমার সঙ্গে ছিল না। গত তিন বছর ধরে খুব ছোট করে পুজো করছি। হাতেগোনা কয়েক জনকেই আমন্ত্রণ জানাই।” তার পরেই হেসে ফেলে যোগ করলেন, যে দিন তিনি ধুমধামের সঙ্গে পুজো করবেন সে দিন প্রত্যেককে আমন্ত্রণ জানাবেন। “সে দিন সৃজিতও আসবে আমার বাড়িতে।”
হঠাৎ সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা! সুস্মিতা কি এই দেবতার বিশেষ ভক্ত? অভিনেত্রীর কথায়, “আমাদের শহরে গণেশচতুর্থী গত কয়েক বছর ধরে পালিত হচ্ছে। আমি কুলটির মেয়ে। সেখানে বাঙালির তুলনায় অবাঙালির সংখ্যা বেশি। গণেশ তাই এই বিশেষ দিনে আড়ম্বরের সঙ্গে পূজিত হন। ছোট থেকে এ ভাবেই এই উৎসবকে দেখে এসেছি। তাই গণেশচতুর্থী আমার কাছে নতুন নয়।”
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী জানালেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর একমাত্র বন্ধু তাঁর রূপসজ্জাশিল্পী। তাঁর বাড়িতেই গত দু’বছর ধরে ছোট করে পুজোর আয়োজন করছেন।
পুজো আকারে ছোট হলেও উদ্যাপনে কিন্তু কমতি নেই। সুস্মিতা আরাধ্য দেবতাকে ফল, মোদক, মিষ্টি ভোগ নিবেদন করেন। নিজেকেও সাজান সুন্দর করে। মরাঠা রমণীর মতোই কি ডান নাকে নথ, চওড়া পাড়ের সিল্কের শাড়ি আর চুলে ফুল দিয়ে সাজবেন? “একেবারেই না। বাঙালি কন্যের মতোই সাজব আমি”, বললেন অভিনেত্রী। একটু থেমে যোগ করলেন, তিনি শুটিংয়ের প্রয়োজনে মরাঠা রমণীর মতোও সেজেছেন। হাসতে হাসতে দাবি, “ওই বিশেষ সাজেও আমায় কিন্তু মন্দ দেখায় না।”