ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
এর আগে গান বাঁধার দায়ে শিল্পীমহলকে দিলীপ ঘোষের হুমকি ছিল, ‘‘রাজনীতিতে পা রাখলেই রগড়ে দেব।’’ এ বার নির্বাচনে পরাজয়ের জেরে ৩ অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তীকে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের কটূক্তি, 'নগরের নটী'। আনন্দবাজার ডিজিটাল ফোন করতেই ক্ষুব্ধ ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘এ ভাবেই কি বারে বারে শিল্পীদের ‘রগড়ানো’ হবে?’’
এর আগে শাসক দলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ ছিলেন তথাগতের নিশানায়। সেই সময় অভিনেত্রীকেও অজস্র কটূক্তি শুনতে হয়েছিল প্রবীণ নেতার থেকে। ভাস্বরের যুক্তি, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। কিন্তু বিজেপির প্রবীণ নেতা যে কাণ্ডজ্ঞান খুইয়ে নিজের দলের সদস্যদেরই অপমান করে বসলেন! যাঁরা পরাজয়ের পরেও বলেছেন দল ছাড়বেন না।
পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি ?
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 4, 2021
ভাস্বরের আরও দাবি, শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীর প্রথম পরিচয়, তাঁরা অভিনেত্রী। শিল্পীদের এ ভাবে ‘নগরের নটী’ বলে অপমান করা যায়? এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। বাঁকা মন্তব্যও করেছেন, ইদানিং নেটমাধ্যমে খুল্লামখুল্লা পরস্পরকে বিঁধছেন সবাই। সেটা করতে গিয়ে মহিলা-পুরুষ কেউই আর অপমানের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
অভিনেতা হতবাক, নির্বাচনে পরাজয়ের পর ৩ অভিনেত্রীর প্রার্থীপদ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন দলেরই এক প্রবীণ নেতা। ‘‘এই প্রশ্ন তো আরও আগে তোলা উচিত ছিল। বিরোধিতাটাও শুরুতে করলেই ভাল হত’’, দাবি তাঁর। একই সঙ্গে অভিনেতা মনে করছেন, সবাই সব কিছুই জানতেন। আসলে দলের মধ্যে কোনও সংহতি নেই। সেই দলীয় কাজিয়াই সামনে এনে ফেলেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy