বেড়াতে যাবেন বলে কয়েক দিনের জন্য বাড়ির পোষ্য পার্শিয়ান বিড়াল ফিলিক্সকে কুঁদঘাটের চণ্ডী ঘোষ রোডের এক পশু দেখভাল কেন্দ্রে রেখে গিয়েছিলেন সারা আলি। ফিরে এসে দেখেন, নিখোঁজ তাঁর প্রিয় পোষ্য! বদলে তাঁকে গছিয়ে দেওয়া হয় অন্য একটি বিড়াল। শনিবার রাত থেকে প্রতিবাদে সরব সারার আত্মীয় অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন, ওই ‘ক্রেশ’-এরই অন্য একটি কুকুর কামড়ে মেরে ফেলেছে বিড়ালটিকে।
শনিবারের রাত তখন অনেকটাই গড়িয়েছে। কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুদীপা। রবিবার তিনি আনন্দবাজার ডট কম-কে বলেন, “সারা আমার মাসতুতো দেওরের মেয়ে। স্বপ্নেও ভাবেনি, ওর সঙ্গে এ রকম কিছু ঘটতে পারে। মেয়েটি গত কয়েক দিন ধরে না পারছে খেতে, না পারছে ঘুমোতে।” তিনি এও জানিয়েছেন, তিনি পশুপ্রেমী তথাগত মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্তের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। রবিবার শহরের পশুপ্রেমীদের সঙ্গে নিয়ে তিনজনে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামবেন।
সুদীপা এখনও বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। উত্তেজিত কণ্ঠে বললেন, “সারার কথা শুনে ক্রেশ-এ গিয়ে দেখি, একটি বাড়িতে ৪০টিরও বেশি পশু বন্দি। গোটা বাড়িতে অযত্নের ছাপ। দরজা খুলে দিলেই বেরিয়ে আসছে পোষ্যেরা। এ ভাবে কোনও পশু ভাল থাকতে পারে?” তিনি এও জানান, পশু দেখভাল কেন্দ্রের মালকিন মৌমিতা দত্ত এবং তাঁর স্বামী দীপশেখর বাড়ির পিছনেই একটি কবরখানা বানিয়ে ফেলেছেন। ‘ক্রেশ’-এর কোনও পশু মারা গেলেই সেখানে কবর দিয়ে দেন তাঁরা। দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা টিকতে পারেন না, এই অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রীর দাবি, “আরও আছে। এখানে পশুদের বেআইনি ভাবে প্রজনন করিয়ে সেই বাচ্চাগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয় বাইরে।” এর পরেই তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, মৌমিতা তাঁর মা এবং দিদাকেও পশুদের সঙ্গে এক ঘরে থাকতে বাধ্য করেছেন। সুদীপার কথায়, “মানসিক ভারসাম্য নষ্ট না হয়ে গেলে কেউ এ রকম আচরণ করতে পারে?” এ দিকে, প্রত্যেক পশুর দেখভালের জন্য ১৫ হাজার টাকা নেন ওই দম্পতি। তার পরেও এই অবস্থা!
আর কী করবেন সুদীপা? তাঁর বক্তব্য, “পুলিশি তদন্ত চলছে। মৌমিতা ফেরার। তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আমরা আইনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।” এও আক্ষেপ তাঁর, “সারার বিড়াল যেন ওই ক্রেশ-এর বাকি পশুদের মুক্তি দিতে এসেছিল। ওর কাজ শেষ। তাই চলে গেল।”